ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে দুপক্ষের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে নুরুল্লাগঞ্জ ও পাশের মানিকদহ ইউনিয়নের কমপক্ষে ৭ গ্রামের হাজারেরও অধিক লোক দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে অংশগ্রহণ করে। এ সময় বেশকিছু বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এলাকায় ভাঙ্গা থানার পাশাপাশি ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়েছে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহিন আলম সাহাবুর। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক।
এরই জেরে বুধবার সকাল ৮টার দিকে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লাকান্দা গঙ্গাধরদী, ফকিরকান্দা গঙ্গাধরদী, দক্ষিণকান্দা গঙ্গাধরদী, ধর্মদী ও মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া, ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের লোকসহ আশপাশের আরও কয়েক গ্রামের লোক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় কমপক্ষে ১০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের আধিপত্যের বিরোধে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ইফতারের সময় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। বুধবার সকালে দুপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
news24bd.tv/তৌহিদ