বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, একুশ শতকে এসেও স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে শিশুকে অবৈধভাবে ব্যবহারের ঘটনা দেখব সেটি চিন্তাও করিনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শিশুর প্রতি এরকম আচরণ শিশু নিপীড়নের শামিল। আমরা দেখলাম, শিশুকে অনৈতিক ও বেআইনিভাবে ব্যবহার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অশুভ উদ্দেশ্যে প্রথম আলো সম্পৃক্ত ছিল।
শিশুর প্রতি এই আচরণ শিশু আইন ও আন্তর্জাতিক সনদসমূহের আলোকে প্রতিষ্ঠিত শিশু অধিকারের লঙ্ঘন।
এই গোষ্ঠীটি কেবল বিভ্রান্তিই ছড়ায়নি, এই বেআইনি কাজে তারা দেশের স্বাধীনতা নিয়েও অবজ্ঞা ও ব্যঙ্গ করেছে। এই কাজ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অবমাননার শামিল। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, সাংবাদিক নামের এসব ব্যক্তির কাছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা কতটুকু।ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, একটা শিশুর হাতে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে তার নামে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে চিন্তাও করা যায় না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতা দিবসে এরকম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে এই গোষ্ঠীটির মুখোশ খসে পড়েছে। তাদের প্রকৃত চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। এই ঘটনায় প্রমাণিত হয় বিগত বছরগুলোতে এই গোষ্ঠী কত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করেছে। প্রকৃতপক্ষে এই গোষ্ঠীটি সূক্ষ্মভাবে এতদিন তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে আসছিল। তাদের এই তথ্য সন্ত্রাসের জাল ছিন্ন ভিন্ন করতে হবে। তাদের তথ্য সন্ত্রাস চিরতরে বন্ধ করতে হবে।