রূপপুরের মালামাল নিয়ে মোংলায় এল ‘এমভি আনকা সান’

রূপপুরের মালামাল নিয়ে মোংলায় এল ‘এমভি আনকা সান’

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

রাশিয়া থেকে পাবনায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্যের আরও একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। শনিবার দুপুরে রাশিয়া থেকে এই পণ্য নিয়ে ভানুয়াতু’র পতাকাবাহী ‘এমভি আনকা সান’ জাহাজ মোংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে। জাহাজটিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৩০ প্যাকেজের ১ হাজার ৬২৭ দশমিক ৯০৪ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য আনা হয়েছে। দুপুর থেকেই এসব মেশিনারি পণ্য খালাস শুরু হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ এই তথ্য জানায়।

এমভি আনকা সান জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক অপারেশন সাধন কুমার চক্রবর্তী জানান, গত ৩ এপ্রিল রাশিয়ার নোভরোসিস্ক বন্দর থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরে পণ্য নিয়ে ছেড়ে আসে এই বিদেশি জাহাজ। এতে ৬৩০ প্যাকেজের ১ হাজার ৬২৭ দশমিক ৯০৪ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালাস করে সড়ক পথে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পঠিয়ে দেওয়া হবে।

এ মাসে আরও দুটি বিদেশি জাহাজে করে রূপপুর বিদ্যুুৎ কেন্দ্রের মেশিনারিজ পণ্য আসবে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ২ হাজার ৫২২ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ইয়ামাল ওরল্যান’ মোংলা বন্দরে আসে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী জানান, বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে মোংলা বন্দরে এখন স্বর্ণযুগ চলছে। এই বন্দর দিয়ে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশের চলমান প্রায় সব মেগা প্রকল্পের পণ্য খালাস হচ্ছে। পদ্মা সেতুর পণ্যও এই বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে দ্রুত দক্ষ জনবল দিয়ে এসব পণ্য খালাস হওয়ায় দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীরা এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।

এদিকে সরকার রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) উৎপাদন প্রস্ততি সনদ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে রাশিয়ার নভোসিভিরসক শহরে রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিভিএল এর সদর দপ্তরে এই চুক্তি হয়।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প কর্মকর্তারা জানায়, এ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের আর কোনো বাধা রইল না।

news24bd.tv/তৌহিদ