কালবৈশাখী ঝড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ২০ মিনিটের ঝড়ে আম, কলা, ভুট্টাসহ কাঁচা-পাকা বাড়ি-ঘড়, দোকান-পাট ভেঙ্গে যাওয়াসহ টিনের ছাউনি উড়ে যায়। রবিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়।
এসময় বনজগাছ ভেঙ্গে রাস্তায় পড়লে যানবাহনসহ মানুষ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ভোলাহাট কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৬৬২ হেক্টর জমির আম বাগানের মধ্যে ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমির আম বাগান ঝড়ে আক্রান্ত হয়। এতে প্রায় ৪০ শতাংশ আম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
অন্যদিকে ভোলাহাট সদর, গোহালবাড়ি ও দলদলী ইউনিয়নের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে দলদলী ইউনিয়নের পোল্লাডাঙ্গা নামটোলা গ্রামের মো. মহবুল হক, মোসা. রেহেনা খাতুন, ঘোনটোলা গ্রামের মো. জালাল, মোসা. সেতারা, উলাডাঙ্গা গ্রামের মো. কাদির আহত হন। এছাড়া ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশন চত্বরে ১১০টি আড়ৎ ঘরের মধ্যে ৬০/৭০ টি ঘরের টিন ও বেড়া উড়ে গেছে।
দলদলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক চুটু জানান, ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও কাঁচা পাঁকা ঘর ভেঙ্গে গেছে। আম ও বনজ গাছ উপড়ে পড়েছে এবং ঘরের টিন উড়ে লোকজন আহত হয়েছে। অপরদিকে গোহালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন আলী শাহ জানান, তার ইউনিয়নে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়িঘরের টিন উড়ে গেছে। এমনকি শতবছর বয়সী বট গাছও উপড়ে গেছে। অনেক পাঁকা ঘরের ছাদ ফেটে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মো. সুলতান আলী বলেন, ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ভূট্টা ও কলার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের জন্য তালিকা করার প্রক্রিয়া চলছে এবং তালিকা হাতে পেলে জেলা প্রসাশনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়াও ঝড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও গোমস্তাপুরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
news24bd.tv/কেআই