গেজেটে যে সকল সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন হলো

গেজেটে যে সকল সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রকাশিত গেজেটে কয়েকটি আসনে পরিবর্তন এসেছে। শনিবার (৩ জুন) চূড়ান্ত এ তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

নতুন সীমানায় পিরোজপুর-১ আসন আগে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিলো।

এই আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে নেছারাবাদ উপজেলা বাদ দিয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে। ইন্দুরকানী উপজেলা আগে পিরোজপুর-২ আসনের অংশ ছিলো। এদিকে, নেছারাবাদ উপজেলা পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড গাজীপুর-২ আসনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।

আগে এই ওয়ার্ড গাজীপুর-৫ সংসদীয় আসনের সাথে অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

ফরিদপুর-২ আসন থেকে সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বাদ দেয়া হয়েছে৷ পূর্বে ফরিদপুর-৪ আসনে আগে এই ইউনিয়ন বাদে সদরপুর উপজেলা ছিলো, এখন পুরো সদরপুর উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কুমিল্লা-১ আসন থেকে মেঘনা উপজেলাকে বাদ দেয়া হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তিতাস উপজেলাকে। কুমিল্লা-২ সংসদীয় আসনে যুক্ত করা হয়েছে মেঘনা উপজেলাকে।

নোয়াখালী-২ সংসদীয় আসন আগে সেনবাগ উপজেলা ও সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও, নটেশ্বর ও আম্বর নগর নিয়ে গঠিত হয়েছিলো। এবার এই তিন ইউনিয়ন ছাড়াও সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নকে নোয়াখালী-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (৩০ মে) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা অল্প কয়েকটি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সীমানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো ইউনিয়ন ভাগ হয়নি। তবে উপজেলা ভাগ হয়েছে। তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য যে আবেদনগুলো এসেছিল, সেগুলো শুনানি করে যাদের বক্তব্য বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে তাদেরটাই আমলে নেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকটা আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়েছে, ‘অল্প’ কয়েকটা আসনে সীমানায় পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সে সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ১৯ মার্চের মধ্যে আপত্তি থাকলে উত্থাপন করতে হবে। এতে ৩৮টি আসনে মোট ১৮৬টি দাবি-আপত্তির আবেদন জমা পড়ে।

পরবর্তীতে ৩ থেকে ১৪মে পর্যন্ত চারটি পৃথক দিনে আবেদনগুলোর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। এতে ‘অল্প’ কয়েকটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক