বাগেরহটের শরণখোলায় পাপিয়া বেগম (৩৫) ও তার পাঁচ বছরের মেয়ে সাওদা জেমি হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে শরণখোলা থানা-পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের আটক করে।
আটকরা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আ. সামাদ হাওলাদারের তিন ছেলে মনির হাওলাদার (৪২), নেহারুল হাওলাদার (৪৮) ও মিলন হাওলাদার (৪০)।
এর আগে নিহত পাপিয়া বেগমের ভাই আল-আমীন খলিফা বাদী হয়ে সাতজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, শনিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ২৫০ বেড হাসপাতালে নিহতদের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহত পাপিয়া বেগমের স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। জিহাদ (১৫) নামে তার একমাত্র ছেলে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে।
নিহত পাপিয়ার ভাসুর স্কুল শিক্ষক আবু তালেব টুকু অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলেটি থাকে মঠবাড়িয়ায়। বাড়িতে শুধু ভাইয়ের স্ত্রী ও ময়েটি থাকতো। একা থাকার সুযোগে প্রতিবেশী লম্পট মনির হাওলাদার আমার ভাইয়ের স্ত্রী পাপিয়াকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিত। মনিরের ভয়ে মেয়েকে নিয়ে রাতে অন্য বাড়িতে থাকতো পাপিয়া। মনিরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক ইনস্পেক্টর বাবুল আক্তার জানান, নিহত পাপিয়া বেগমের ভাই আল-আমীন খলিফা বাদী হয়ে সাতজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ২৫০ বেড হাসপাতালে নিহতদের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
তবে, এই পুলিশ কর্মকর্তা অন্য চার আসামির নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি।
news24bd.tvতৌহিদ