‘জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ তৈরিতে সহায়তা করছে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার’

সংগৃহীত ছবি

‘জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ তৈরিতে সহায়তা করছে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার’

অনলাইন ডেস্ক

বর্তমান বিশ্বের সর্বোচ্চ চাহিদা সম্পন্ন বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বা সিএসই। মানুষের পকেটের স্মার্টফোন থেকে মহাকাশের স্যাটেলাইট সর্বত্রই রয়েছে এই শিক্ষার উপস্থিতি এবং প্রয়োগ। বিস্তৃত শিক্ষাখাত এবং নিশ্চিত কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে এই বিষয়টি। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরা-বাধা কাঠামোগত সিলেবাস অনুসরণ করা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত না হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই প্রযুক্তিভিত্তিক আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত সমসাময়িক কারিকুলাম বা আউটকাম বেজড কারিকুলাম প্রণয়ন এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন। আর এ সবগুলো বিষয়ই বিদ্যমান রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ)।  

আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে যে দেশ প্রযুক্তিতে যত এগিয়ে, সেই দেশ ততটা উন্নত।

একজন শিক্ষার্থীর বিষয় নয়, এটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের বিষয়। কারণ শিক্ষা জীবন শেষ করে দেশের উন্নয়ন ভাবনাতো একজন দক্ষ প্রযুক্তিবিদই ভাবতে পারেন। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে সহায়ক সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ’

এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যা দ্রুত বিকাশ ও গতিশীলতার কারণে অত্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছে। কর্ম ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। দূরদৃষ্টি ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ তৈরীতে সহায়তা করছে। তাই একে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ’

তিনি আরো বলেন, ‘এ বিভাগে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক মন্ডলী নেতৃত্ব দিচ্ছেন যা গুনগত মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করছে আমাদের বিশ্বাস তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং হাতে-কলমে প্রযুক্তি শিক্ষার সমন্বয়ে বিজয়ী হওয়া সম্ভব। এজন্য আমরা সমসাময়িক কারিকুলাম ও স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি তৈরীতে সচেষ্ট। ’

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো ক্যাম্পাসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সিসিটিভি, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সুবিধাসম্বলিত ক্লাসরুম, ওয়াই-ফাই সংযোগসহ সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। রয়েছে ধূমপানমুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের ৮ম তলায় রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। এছাড়াও রয়েছে হাতেকলমে শিক্ষাদানের জন্য স্মার্ট ক্লাসরুম, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, ফিজিক্স ল্যাব, সার্কিট ল্যাব, কেমিস্ট্রি ল্যাব, এবং ল্যাংগুয়েজ ল্যাব, যা শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় উন্মুক্ত রাখা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ’ এর দুই কর্ণধার ও আইএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন ও ভাইস-চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুর রহমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। প্রতিষ্ঠাতারা বলছেন, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এর ৩০টি অধিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি অন্যতম। শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলে ইন্টার্নশিপ ছাড়াও চাকরির সুযোগ দিতে প্রস্তুত তারা।

জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর বছরে দুটি সেমিস্টারের মাধ্যমে আকর্ষণীয় স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়। যারমধ্যে পূর্ণ অনুদান (১০০%) থেকে শুরু করে আংশিক মওকুফসহ শিক্ষার্থীদের মোট ১৪টি ক্যাটেগরিতে স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার প্রদান করা হয়। আরো তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট : www.isu.ac.bd 

এই রকম আরও টপিক