প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেছেন, বর্তমান প্রজন্ম ভালো করেই জানে, দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য এক অকুতোভয় সাহসী রাষ্ট্রপ্রধান, এক লৌহমানবী। তারা পূনরায় শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখতে চায়। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ শনিবার গোপালগঞ্জ ০৩- (২১৭) আসনের কোটালীপাড়া অংশের ইউনিয়ন ও কেন্দ্র ভিত্তিক সমন্বয় কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সভা আয়োজন করে।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে পিতৃ-মাতৃ, ভাই, স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে স্বদেশ ভূমিতে ফেরার পর থেকেই তিনি নিরলসভাবে দেশের অধিকারহারা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। মূলত আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলে দেশে গণজাগরণের ঢেউ জাগে, গুণগত পরিবর্তন সূচিত হয় রাজনৈতিক আন্দোলনের, গণসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায় সংগঠনের; দেশবাসী পায় নতুন আলোর দিশা।
তিনি আরও বলেন, বিগত নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সাথে সাথে আমাদের কেন্দ্র ভিত্তিক যে কমিটি গঠন করা হবে, তা শক্তিশালী ও কার্যকর করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিটিং করতে হবে। যাতে ভোটের দিন যার যা দায়িত্ব তা ঠিত মতো পালন করতে পারেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ রচনার আলোকোজ্জ্বল পথ তথা আর্থসামাজিক ও সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। তাই শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষের জনগণকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল উন্নয়নে শামিল হতে হবে। সেই সাথে আগামী সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা প্রতিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাজরা, রুহুল আমিন খান, তথ্য ও গবেশনা বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল আলম পান্না, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিজন বিশ্বাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী খায়রুল রাজ্জাক খসরু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাজরা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন তালুকদারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
