ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। শনিবার (২৬ অগাস্ট) দুপুরে বাসাবো কালিমন্দির সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু রোগ বিস্তার রোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ পরবর্তী গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তাপস এ দাবি করেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের প্রতিদিনকার যে কার্যক্রম সেটাও ব্যাপক।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) আমাদের রোগীর সংখ্যা ৭০ এর নিচে চলে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা এখনো কোনো সন্তুষ্টির ঢেকুর নিতে চাই না। এটা ভরা মৌসুম।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি সেহেতু এ সুযোগে আমরা যদি একদম নির্মুলের পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি তাহলে সামনের দিনে আর বৃদ্ধি হতে পারবে না। আমাদের লক্ষ্য হলো মশক প্রজননের আধার বিনষ্ট করা। আমরা যতই সোর্স রিডাকশন করতে পারবো আমাদের কার্যক্রম ততই ফলপ্রসু হবে। সেজন্য জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতেই আমরা এ কার্যক্রম নিয়েছি।
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে নিজস্ব স্থাপনা, বাড়ি, আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পানির আধার বিনষ্ট করা এলাকাবাসীর নাগরিক দায়িত্ব জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, সব তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশনের ৭৫টা ওয়ার্ডের মধ্যে যেসব ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী পেয়েছি, সে সব ওয়ার্ডকে আমরা ‘লাল চিহ্নিত’ করেছি। লাল চিহ্নিত মানে বিপজ্জনক। সেখানে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সে আশঙ্কা থেকেই আমরা লাল চিহ্নিত করেছি এবং এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ত করেছি। বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদরাসা, বাড়ির মালিক, সব স্থাপনার মালিক, সব সামাজিক সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস সবাইকে সম্পৃক্ত করে এ ওয়ার্ডগুলোতে আমরা দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সকালে লার্ভিসাইডিং ও বিকেলে অ্যাডাল্টিসাইডিংসহ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবো।
তিনি বলেন, যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের এ কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছে এবং অংশগ্রহণ করেছে আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। নিজস্ব স্থাপনা, বাড়ি, আঙ্গিনাসহ সব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পানির আধার বিনষ্ট করা এলাকাবাসীর নাগরিক দায়িত্ব।
news24bd.tv/আইএএম