বাংলাদেশের আদালতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশি-বিদেশি ব্যক্তির খোলা চিঠিকে বেআইনি ও অযৌক্তিক দাবি করেছেন ১৪ দলের নেতারা।
বুধবার এক বিবৃতিতে জোটটির নেতারা ওই চিঠিকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হুমকি বলে অভিহিত করেন। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে ১৪ দলের নেতারা বলেন, ফৌজদারি আইন দেশের সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
নেতারা বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন দ্বারা সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যে কোনো বিচারিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার এ ধরনের অপতৎপরতা পবিত্র সংবিধান ও আইনের পরিপন্থি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আইনের আশ্রয় গ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেই সাংবিধানিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে চলমান বিচারিক কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাপূর্ণ দাবি আদালত অবমাননার শামিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, সংবিধান, আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত বা প্রভাব বিস্তার করে এমন ধরনের বিবৃতি কিংবা তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ১৪ দলের নেতারা।