কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ছেলেকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের বাবা। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রৌমারী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপকুমার সরকার।
তিনি জানান, অজ্ঞাতনামা বিএসএফ’র নামে মামলাটি দায়ের করেছে নিহতের বাবা।
জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর রৌমারী উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা শৌলমারী ইউনিয়নের মোল্লারচর এলাকায় সীমানা পিলারের পাশে কাটাতারের ওপর দিয়ে অবৈধভাবে গরু পাচার করা হচ্ছিল।
এতে একই ইউনিয়নের বেহুলার চর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে মানিক মিয়ার (৩৫) বুকে ও কোমড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতীয় অভ্যন্তরে লুটিয়ে পরে। সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে মামলার ভয়ে মৃত মানিক মিয়াকে রৌমারী উপজেলা শহরের বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্চারাম গ্রামে তার খালাতো ভাই
আব্দুল মোত্তালেবের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়।
নিহতের বাবা আব্দুল বাতেন জানান, সীমান্তে আমার সন্তানের মতো অনেক বাবা-মায়ের সন্তানকে বিএসএফ নির্দয়ভাবে গুলি করে হত্যা করছে। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত মানিক মিয়ার বাবা আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা বিএসএফ’র নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রুহুল আমিন জানান, কীভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখে পরে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জামালপুর ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকি জানান, সীমান্তে গুলির ঘটনায় সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র সাথে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএসএফ গুলির ঘটনা স্বীকার করেছে। আমরা সীমান্ত হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। মামলার ঘটনায় আমরা হেড কোয়ার্টারের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়ায় যাব।