আজ যত পারুন স্ত্রীর প্রশংসা করুন

প্রতীকী ছবি

আজ যত পারুন স্ত্রীর প্রশংসা করুন

অনলাইন ডেস্ক

‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ এই কথাটি চিরন্তন সত্য। একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, আদর্শ পরিবার গড়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন একজন স্ত্রী। তিনি সর্বোচ্চটুকু ত্যাগ স্বীকার করে পরম মমতায় আগলে রাখেন একটি পরিবার। দুই হাতে সামলে রাখেন স্বামী, সন্তান, সংসার।

একজন আদর্শ স্ত্রী তার সংসারের ধারক, বাহক এবং প্রয়োজনে  পরিত্রাতার ভূমিকা ও পালন করে থাকে। ঘরে বাইরে সব জায়গায় একজন আদর্শ স্ত্রী পারদর্শিতার সাথে তার ভূমিকা পালন করে । স্বামী ,সন্তান ও সংসারের জন্য সারা দিনরাত হাড়ভাঙা খাটে তবুও মুখের হাসি ম্রিয়মাণ হয় না। দিনের শেষে তার শুধু চাহিদা একটুখানি ভালোবাসা  আর কিছুটা আন্তরিকতা।

যে স্ত্রী গোটা সংসারকে সুখে ভরিয়ে রাখে তার কি এতটুকুনি সুখ প্রাপ্তি  কাম্য নয়?

এসব ত্যাগী স্ত্রীরা পরিবারের অন্য সবার, বিশেষ করে স্বামীর একটু প্রশংসা বা উৎসাহ পেলে মুহূর্তেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। দ্বিগুণ আগ্রহে আরও বেশি মনোনিবেশ করেন সংসারে। অনেক স্বামীই আছে, যারা স্ত্রীর প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেন, খুঁত খুঁজে বেড়ান। একটু এদিক-সেদিক হলেই কথা শুনিয়ে দেন। সমীক্ষা বলছে, এসব স্বামীদের কপালে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকে।

মনে রাখবেন, স্ত্রীদের যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিলে অথবা বিশ্বাস করলে  সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না। প্রতিটি স্ত্রীর হৃদয়ে ভালোবাসা আর অভিমান দুটোই থাকে বেশি, স্বামীরাই পারে স্ত্রীর সব অভিমান ভালোবেসে ভাঙিয়ে, মুখে ফোটাতে হাসি।  

যেহেতু পরিবারের সবদিকটা স্ত্রী খুব নিপুণভাবে দেখভাল করে থাকেন, তাই তিনি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। সেজন্য আজকের দিনটি বেছে নিতে পারেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন স্ত্রীর প্রতি। কারণ, আজ স্ত্রীর প্রশংসা দিবস।

বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীর প্রশংসা দিবস উদযাপিত হয়। ২০০৬ সালে দেশটিতে প্রথম দিবসটি উদযাপিত হয়। তারপর থেকে এটি অনেক দেশে পালিত হয়ে আসছে। তবে, দিবসটি নিয়ে খুব বেশি তথ্য জানা না গেলেও মনে করা হয়, স্ত্রীর প্রশংসা দিবসটি মূলত স্ত্রীদের সম্মান জানানোর জন্য উদযাপন করা হয়।

মারাত্মক দুঃসময়ে প্রথমে যে মানুষটি পাশে দাঁড়ায়, যে মানুষটির আদর-ভালবাসা হতাশা নিরাময়ের মহৌষধ, চরম সিদ্ধান্তহীনতায় যে ব্যক্তি একটি লক্ষ্যে স্থির রাখতে সাহায্য করে, তিনিই স্ত্রী। স্ত্রীরা স্বামীদের কঠোর পরিশ্রমের অনুপ্রেরণা। শুধু তাই নয়, সারাদিন পরিশ্রম শেষে রাতে বাসায় ফেরার পর এক পশলা স্বস্তির নিশ্বাস বয়ে আনে ওই স্ত্রীই। তাই স্ত্রীই একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কিংবা প্রশংসার দাবিদার।  

বিশেষ এই দিনটিতে স্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারেন একগুচ্ছ ফুল। ঘুরতে যেতে পারেন কোথাও। চাইলে ছোট-বড় উপহারও দিতে পারেন। পারেন নিজ হাতে তাকে রান্না করে খাওয়াতেও।