চাঁদপুরের সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাটে ইলিশের ভরা মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই টন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব ইলিশের খুচরা ক্রেতাই বেশি।
এসব ইলিশ জেলেরা সরাসরি নদী উপকূলীয় ছোট আড়তগুলোতে এনে বিক্রি করছেন। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হরিণা ফেরিঘাটের মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
খুচরা ক্রেতা বেশি থাকলেও রয়েছেন অল্প কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ী। যারা জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ কিনে শহরের বাজারগুলোতে এবং পরিচিতি আত্মীয় স্বজনের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান।
ঘাটে ইলিশ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন জানান, তারা সকালে ছোট নৌকা নিয়ে মেঘনায় ইলিশ আহরণে নেমেছেন। দুপুর পর্যন্ত যে কয়টি ইলিশ পেয়েছেন ১৫০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।
ইলিশ বিক্রি করতে আসা আরও এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে পাওয়া ইলিশ বিক্রি করেছেন ১৩০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে তেমন ইলিশ পাওয়া যায়নি। তবে এখন ছোট-বড় মিলিয়ে কিছু ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। যারা বড় নৌকা নিয়ে ইলিশ ধরতে সাগর এলাকায় যান তারা পরিমাণে বেশি পান। ওইসব নৌকায় জেলে থাকে ১০-১৫ জন।
ইলিশ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, এখানে এলে জেলেদের ধরে আনা তাজা ইলিশ কেনা যায়। দাম বেশি হলেও ভেজাল নেই। এক কেজি ওজনের ইলিশ আজকে কিনেছি ১৭০০ টাকা করে। ছোট সাইজের ইলিশ প্রতি হালি বিক্রি হয় ৫৫০-৭০০ টাকা। সাইজ অনুযায়ী প্রতি হালি ইলিশের দাম নির্ধারিত হয়।
হরিণা আড়তের মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশ কম-বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তবে নদীতে পানি কমে যাচ্ছে। এরপর আগামী মাসের শুরুর দিকে শুরু হবে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান। তখন জেলেরা অবসর হয়ে পড়বেন। যদি ভাগ্য ভালো হয় আরও ২০-২৫ দিন জেলেরা ইলিশ ধরতে পারবেন তারা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তারা এখন কম-বেশি ইলিশ পাচ্ছে। যাদের ইলিশ ধরার জালের ফাঁদ বড় তারা বড় সাইজের ইলিশ পায়। চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাগরের ইলিশও বিক্রি হয়। তবে স্থানীয় আড়তগুলোর ইলিশ সব পদ্মা-মেঘনার। এসব ইলিশের স্বাদ বেশি হওয়ায় চাহিদাও বেশি।