২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম: প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে উত্তর গাজার মানুষ

সংগৃহীত ছবি

২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম: প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে উত্তর গাজার মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর থেকে তীব্র সংকটে পড়েছে উত্তর গাজার প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দা। এই সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে যখন ইসরায়েল তাদের উত্তর গাজা ছাড়তে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে। এখন সেখানকার লাখ লাখ মানুষ প্রাণে বাঁচতে দক্ষিণের দিকে ছুটছে।  

শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়ার নির্দেশনাকে জাতিসংঘ ও বিশেষজ্ঞরা অসম্ভব বলে আখ্যা দেয়।

 

এদিকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী গত রাতে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জিম্মিদের অবস্থান চিহ্নিত ও ‘সন্ত্রাসীদের দমন করতে’ গাজার কিছু এলাকায় ইসরায়েলি পদাতিক ও গোলন্দাজ সেনা ‘স্থানীয় পর্যায়ে’ অভিযান চালিয়েছে।

জাতিসংঘ বলেছে, কোনো মানবিক বিপর্যয় ছাড়া এত বেশি মানুষকে এই সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া বস্তুত অসম্ভব। ইসরায়েলি এই নির্দেশের নিন্দা করেছে আরব দেশগুলোর জোট আরব লীগ। সংস্থাটির প্রধান আহমেদ ঘেইত গতকাল বলেন, ‘ইসরায়েল যেভাবে জোর করে গাজাবাসীকে স্থানান্তর করছে, তা অপরাধ।

’ 

ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলার পাশাপাশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানির অভাবে গাজাবাসীর জীবন এরই মধ্যে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পুরো গাজা উপত্যকা পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। এর মধ্যে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর দেওয়া নতুন ইসরায়েলি নির্দেশে মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়ে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা অন্তত এক হাজার ৭৯৯। অন্যদিকে পশ্চিম তীরে বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মৃত্যুর কারণে হামাসের শনিবারের হামলায় ইসরায়েলি পক্ষে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে তৎকালীন ফিলিস্তিনে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর গণহারে ফিলিস্তিনিরা বাস্তুচ্যুত হয়। সেই ঘটনাকে ফিলিস্তিনিরা নাকবা হিসেবে স্মরণ করে। আরবি শব্দ নাকবা অর্থ ‘বিপর্যয়’।

প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনির নেতৃত্বের আরেক অংশ পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণকারী শাসক দল ফাতাহর শীর্ষ নেতা। ১৯৪৮ সালের নাকবায় সাত লাখ ৬০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়। এবার ১১ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি একই রকম পরিস্থিতির মুখে।

সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি, এএফপি

news24bd.tv/আইএএম