তারেক রহমানের রাজপথে নামার আহ্বানে 'নিরাপত্তা শঙ্কা প্রকাশ' সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীদের

প্রতীকী ছবি

২৮ অক্টোবর 'সরকার পরিবর্তনের' দাবিতে 

তারেক রহমানের রাজপথে নামার আহ্বানে 'নিরাপত্তা শঙ্কা প্রকাশ' সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীদের

অনলাইন ডেস্ক

বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৮ অক্টোবর 'সরকার পরিবর্তনের' জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তারেক রহমানের 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি কর্মচারীদের নির্দেশনা' দেয়ার জন্য তার সমালোচনা করেছেন সংখ্যালঘু নেতা-কর্মীরা। খবর ইউএনবির

পলাতক ব্যক্তির এ ধরনের নির্দেশনা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল উল্লেখ করে তারা বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রখ্যাত লেখক, ইতিহাসবিদ ও যুদ্ধাপরাধ গবেষক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ব্যালটের লড়াইয়ের পরিবর্তে 'সরকারকে উৎখাত করার জন্য' রাজপথে না নেমে বিএনপির আহ্বান 'অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক'।

"২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বড় নিপীড়ন আমরা দেখেছি," বলেন কবির।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একাডেমিক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, 'জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার পরিবর্তন করা যেতে পারে, যা ব্যালট বা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে। '

তারেকের আহ্বান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গণমানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়া আপনি কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন না।

যেহেতু বিএনপি ও জামায়াতের অতীত রেকর্ড সহিংস, তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা রানা দাশগুপ্ত বলেন, অতীতে বিএনপি কর্তৃক সংঘটিত সহিংস হামলার প্রেক্ষাপটে তারেকের এই সর্বশেষ হুমকি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য গভীর উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দাশগুপ্ত বলেন, 'গণতন্ত্রের মৌলিক নীতিমেনে চলা যে কোনো রাজনৈতিক দলের উচিত প্রকাশ্যে এ ধরনের হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে রাস্তায় সহিংসতা এবং সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা এখনো ভুক্তভোগীদের মর্মাহত করছে।