বিভাগীয় মামলা চললেও তিনি প্রকল্প পরিচালক

সংগৃহীত ছবি

বিভাগীয় মামলা চললেও তিনি প্রকল্প পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল হাসানকে নিয়ম বর্হিভূত ও অবৈধভাবে একাধিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বানানোর অভিযোগ উঠেছে।   যেকোনো প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হওয়ার জন্য নূন্যতম নির্বাহী প্রকৌশলী  হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেই নিয়মকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল হাসানকে ৩টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বানানো হয়েছে।  

প্রকল্পগুলি হচ্ছে - (১) গোপালগঞ্জ জেলার পল্লী এলাকার নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প। (২) পার্বত্য চট্টগ্রামে সমন্বিত ও টেকসই পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প।

ও (৩) শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।  

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল সুত্রে জানা গেছে, ৩ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও বিদেশে থাকার অভিযোগে মোঃ শফিকুল হাসানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে, এজন্য তার ৫ বছরের জন্য পদন্নোতিও স্থগিত রয়েছে।  

এছাড়াও অধিদপ্তরে অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন ৬৩ জন সদ্য পদন্নোতি পাওয়া নির্বাহী প্রকৌশলীকে বাদ দিয়ে একজন সহকারী প্রকৌশলীকে একাধিক প্রকল্পের পরিচালক বানানোয় পদন্নোতি পাওয়াদের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

তাছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন ৭ম গ্রেডের কর্মকর্তা যার মুল পদবি - সহকারী প্রকৌশলী, তাকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেখিয়ে মন্ত্রানালয়ের কিছু উর্ধতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে জনাব শফিকুল হাসান কে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমন্বিত ও টেকসই পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

যেখানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মকর্তা রয়েছে, কিন্তু একজন অনভিজ্ঞ ৭ম গ্রেডের  সহকারী প্রকোশলীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যদিই উল্লিখিত কর্মকর্তা সপরিবারে আমেরিকা সেটেল৷ কিন্তু তিনি প্রত্যেক বছরেই স্ত্রীর খরচ দেখিয়ে আমেরিকা ভ্রমন করে থাকেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বর্তমানে দুইটি প্রজেক্টের পরিচালক হিসেবে আছি। শহর অবকাঠামো উন্নয়ন  প্রকল্প শেষ। এটার পরিচালক আগে ছিলাম। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি।

একই সাথে তিন প্রকল্পের পরিচালক হওয়ার বিষয়ে বলেন, এটা আমি জানি না। আপনারা আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে এই বিষয়ে আলাপ করেন।
news24bd.tv/AA

সম্পর্কিত খবর