ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন রিজভী

সংগৃহীত ছবি

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন রিজভী

অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, তারা একের পর এক পোড়াচ্ছে যানবাহন ও স্থাপনা। তাদের লক্ষ্য সবার কাছে পরিষ্কার, নিজেরা নানা দেশবিরোধী অঘটন ঘটিয়ে তার সুবিধাভোগী হিসেবে বিএনপির সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার প্রহসনমূলক গ্রেপ্তার ও রায় নিশ্চিত করা। বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে উম্মত্ত হায়েনার মতো হামলা চালিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব অভিযোগ করে বলেন, ‘শাসকগোষ্ঠীর হাতে চরমভাবে মানবতা লঙ্ঘনের শিকার হয়েও, দেশব্যাপী রুখে দাঁড়াচ্ছে নিরস্ত্র গণতন্ত্রকামী জনগণ। খালি হাতে রাজপথে নেমে আসছে, আত্মরক্ষার চেষ্টা করছে। খুনিদের প্রতিহত করছে কখনো রাস্তায় পড়ে থাকা ইট-পাথর দিয়ে, আবার কখনো বা অসীম সাহসে আওয়ামী অপশক্তির হাতিয়ার ছিনিয়ে। ’

সরকার পতনে এক দফার চলমান আন্দোলনে সারাদেশে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনজন নেতাকর্মীকে হত্যার অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, ‘প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তে, রক্ত ও জীবন দিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

কারণ, লুণ্ঠিত মানবতাকে ধারণ করেই গণতন্ত্র পুনরুারের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। তাদের অহিংস ও শান্তিপূর্ণ এই সংগ্রাম প্রিয় বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। এই লড়াই ১৮ কোটি মানুষের সত্যিকার স্বাধীনতার জন্য।

রিজভী বলেন, ‘বিএনপির নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ চালাচ্ছে পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবির একটি উচ্ছিষ্টভোগী অংশ। যুদ্ধক্ষেত্রের মতো নির্বিচারে ও বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করছে বুলেটের গুলি, টিয়ার শেল, লাঠি চার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, আর্মড ভেহিকল ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। আওয়ামী লীগের এই দুষ্কৃতিকারীরা আঘাত করছে স্টিলের পাইপ, লাঠিসোটা, বাঁশ, স্ট্যাম্প, হকিস্টিক, কাঠ ও চাপাতি দিয়ে। ’

হতাহত নেতাকর্মীদের বর্ণনা দিয়ে রিজভী বলেন, ‘অবরোধ চলাকালে কিশোরগঞ্জ জেলাধীন কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সুতি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ ও ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি বিল্লাল মিয়াকে পুলিশ নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়াও অনেক নেতাকর্মী পুলিশের ছোড়া গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সিলেট জেলাধীন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালবাজারে বিএনপির অবরোধ চলাকালে পুলিশ গাড়িচাপা দিয়ে গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দিলু আহমদ জিলুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ’

রিজভী জানান, ২৮ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ৪৬টির মতো মামলায় দুই হাজার ২৮০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় আহত তিন হাজার ৩৫০ জন, একজন সাংবাদিকসহ নিহত ৮ জন। এছাড়া বিগত ছয় দিনে সারাদেশে মামলা হয়েছে ৭১টি এবং গ্রেপ্তার হয়েছে চার হাজারের উপর নেতাকর্মী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/AA