দোয়া মাসুরা কী, নামাজে কখন পড়বেন?

সংগৃহীত ছবি

দোয়া মাসুরা কী, নামাজে কখন পড়বেন?

অনলাইন ডেস্ক

নামাজের শেষ বৈঠকে দরূদ পাঠের পর দোয়া পড়তে হয়। এই দোয়াকে দোয়া মাসুরা বলে। তাশাহহুদের পর দরুদ পড়া ও এরপর দোয়া মাসুরা পড়া সুন্নত। দোয়া মাসুরা শেষে সালাম ফেরাতে হয়।

এখানে পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। বরং একটি মাসনুন দোয়া পড়লেই হয়। এমনকি একাধিক দোয়াও পড়া যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অতঃপর (দরুদ পাঠের পর) যে দোয়া ইচ্ছে, সেটা পড়বে।

’ (মুসলিম, হাদিস ৪০২)

দোয়া মাসুরা
 এ ব্যাপারে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনেকগুলো দোয়ার দিকনির্দেশনা এসেছে। যার মধ্যে একটি দোয়া মাসুরা। হযরত আবু বকর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি রসুল সা.-কে বললাম, আমাকে একটি দোয়া শিক্ষা দিন, যা আমি আমার নামাজের মধ্যে পড়বো।  

তখন রসুল সা. বললেন, তুমি বল, اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمْاً كَثِيْراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
 
দোয়া মাসুরার বাংলা উচ্চারণ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্তা; ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ’ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রাহীম।
 
দোয়া মাসুরার অর্থ
অর্থ: হে আল্লাহ্‌! আমি আমার নিজ আত্মার ওপর অনেক অত্যাচার করেছি, তুমিই একমাত্র গুনাহ মাফকারী; অতএব তুমি আপনা হতে আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দাও। আমার প্রতি দয়া কর। তুমি নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (বুখারি ৮৩৪, মুসলিম ২৭০৫)
 
দোয়া মাসুরা কখন পড়তে হয়
নামাজের শেষ বৈঠকে প্রথমে আত্তাহিয়াতু, তারপর দরূদ শরীফ, সবশেষে দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাতে হয়। কোন কারণে দোয়া মাসুরা পড়তে না পারলে সমস্যা নেই।
 
আরো কিছু দোয়া
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ নামাজে তাশাহহুদ পড়বে, তখন চারটি বিষয় থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।  

বলবে, اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ 

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে। (মুসলিম ৫৮৮)

 অপর বর্ণনায় এসেছে, হযরত উরওয়া ইবনু যুবাইর রহ. থেকে বর্ণিত যে, নবী সা.-এর সহধর্মিনী আয়শা রা. তাকে বলেছেন, রসুলুল্লাহ সা. এই বলে দোয়া করতেন,  اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَفِتْنَةِ الْمَمَاتِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
 
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, দাজ্জালের ফিৎনা থেকে। আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি গুনাহ ও ঋণ থেকে। (বুখারি ৮৩৩, মুসলিম ৫৮৯)

news24bd.tv/AA