কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক নৌ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করলেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

প্রতীকী ছবি

কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক নৌ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করলেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের রাষ্ট্রদূত কাতারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় আট সাবেক নৌ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি জানায়, ৩ ডিসেম্বর কারাগারে থাকা সাবেক নৌ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

তারা জানান, কাতারের একটি আদালত রায়ের বিরুদ্ধে ভারতের দায়ের করা আপিলের দুটি শুনানি করেছে এবং তৃতীয় শুনানি খুব শিগগির অনুষ্ঠিত হবে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আট সাবেক ভারতীয় নৌসেনা হলেন, ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বাশিস্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পুর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকার পাকালা, নাবিক রাগেশ ও কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা।

এর আগে গত অক্টোবরে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক আট কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় কাতারের একটি আদালত। কাতারে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন তারা।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালের আগস্টে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

তবে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেটি কাতার বা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি। ভারত তখন জানিয়েছিল, তারা এই খবর শুনে গভীরভাবে হতবাক এবং তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।  

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার বিষয়ে জানা একজন নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। ’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আদালতের আদেশ গোপনীয় এবং শুধুমাত্র আইনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তথ্য ভাগ করা হয়েছে। তিনি মামলার সংবেদনশীলতার কারণে সবাইকে এ বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে নিষেধ করেছেন।

নৌ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দেখা করার দুদিন আগে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুবাইতে কপ২৮ শীর্ষ সম্মেলনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

ভারত সরকার বলছেন, আটজন ব্যক্তি আল দাহরা নামক একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মচারী ছিলেন। তবে তারা ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক কর্মী বলে ব্যাপকভাবে প্রতিবেদন করা হয়েছে।

কিন্তু গত বছর সংসদে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাদেরকে দেশের ‘সাবেক সৈনিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। আটক কয়েকজনের পরিবারও স্থানীয় গণমাধ্যমে তাদের পরিচয় ও নৌবাহিনীতে অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে। গত বছরের আগস্টে গ্রেপ্তারের পর ভারতে পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম হয়েছিল খবরটি।

news24bd.tv/DHL