জেঁকে বসেছে শীত, ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ

সংগৃহীত ছবি

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

জেঁকে বসেছে শীত, ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ

অনলাইন ডেস্ক

তেঁতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে অগ্রাহায়নের শীত। রেকর্ড হয়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কয়েকদিন ধরে সূর্যের আলোর দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না। দিনভর কুয়াশা থাকছে।

বিকেল গড়ালেই হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত বাড়তে থাকে। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

সকাল থেকে উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় আবৃত রয়েছে চারপাশ। শহর ও গ্রামীণ সড়কে গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে।

প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে চাইছেন না কেউই। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে বের হন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, কয়েকদিন ধরেই ‘ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে’র প্রভাবের কারণে দিনে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। মেঘ ও কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্যের আলোর। কমেছে দিনের তাপমাত্রাও। বিকেল গড়লেই হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শীতের প্রকোপ। সকালে দেখা যায় ঘন কুয়াশা। সে কুয়াশায় ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। শীত ঘিরে বেড়েছে শীতের পোশাকের চাহিদা।

স্থানীয়রা জানান, পঞ্চগড়ের এই উপজেলায় দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে সবার আগে শীত নামে। চলতি মৌসুমেও শীতের আমেজ দেখা গেছে অক্টোবরের শেষের দিক থেকে। তবে নভেম্বরের শুরু থেকে বাড়তে থাকে শীত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকেই শীত নামতে দেখা যায়।

শীতের আগমনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ফুটপাট দোকানে নিম্নবিত্ত মানুষজনকে কাপড় কিনতে দেখা গেছে। ফুটপাতগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে গরম কাপড়ের দোকান। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, ট্রাউজার, টুপিসহ বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড় বিক্রি করা হচ্ছে এসব দোকানে। আর শীত মৌসুমে দেখা গেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। চিকিৎসকরা শীতে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, ‘তাপামাত্রা কমেছে। রোববার সকালে এ উপজেলায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে। বিশেষ করে হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় এ অঞ্চলে শীত বেশি হয়ে থাকে। ’

news24bd.tv/aa