মানুষের শরীরে ক্ষতিকর জীবাণুর উপস্থিতি, জীবাণু ধ্বংসে এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতাসহ সকল ধরণের জীবাণুর এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সংবেদনশীলতার উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসের ইবনে সাত্তার।
মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগে ২০২২ হইতে ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সম্পন্ন রোগীর নমুনায় সকল ধরনের জীবানুর এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সংবেদনশীলতার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। রোগীদের ননুনায় জীবানু সনাক্তকরণ ও জীবানু সমূহের এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সংবেদনশীলতা নির্ণয়ের বিদ্যমান প্রযুক্তিসমূহ এবং এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্ট মোকাবিলায় এই বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।এ সময় বক্তা ডাঃ ফজলে রাব্বি চৌধুরী এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্সের উপর অতি সম্প্রতি দুইটি গবেষণাপত্র The Lancet জার্নালে প্রকাশের তথ্য প্রদান করেন। উক্ত গবেষণা প্রবন্ধ মতে ২০১৯ সালে ব্যাকটেরিয়া জনিত AMR এ প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়।
এগুলো হল- MDR TB, Quinolone এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী টাইফয়েড, ESBL producing E.coli এবং Klebsiella সংক্রমন এবং Carbapenam প্রতিরোধী Enterococci সংক্রমন।
এছাড়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া জনিত অসুখ, সেপসিস এবং এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী প্রস্রাব সংক্রমনে সঠিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা পালন করা উচিৎ। এছাড়াও হাসপাতালজনিত সংক্রমনের হার বাংলাদেশে আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে।
news24bd.tv/DHL