লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালীন সন্ত্রাসীদের হামলা, যুদ্ধ ঘোষণা প্রেসিডেন্টের

বাঁয়ে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, ডানে লাইভ টিভিতে অনুষ্ঠান চলাকালীন জিম্মিরা

লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালীন সন্ত্রাসীদের হামলা, যুদ্ধ ঘোষণা প্রেসিডেন্টের

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের একটি টেলিভিশন স্টুডিওতে লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালীন বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটির দুর্ধর্ষ মাদক সিন্ডিকেটের মূলহোতা কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। যার ফলে দেশটিতে সোমবার থেকে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা এবং রাতে কারফিউ জারি করা হয়।

এরপর ইকুয়েডরের বন্দরনগরী গুয়াইকিল শহরে টিসি নামের একটি টেলিভিশন স্টেশনে লাইভ চলাকালীন কিছু বন্দুকধারী আচমকাই ঢুকে পড়ে।

হামলাকারীরা বন্দুক ও গ্রেনেড নিয়ে টেলিভিশন স্টেশনটিতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। ওই অনুষ্ঠানের কর্মীদের মেঝেতে শুয়ে ও বসে পড়তে বাধ্য করে হামলাকারীরা।

এ সময় এক নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘গুলি করবেন না, দয়া করে গুলি করবেন না। ’ একপর্যায়ে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দুকধারীদের সকলেই  হুডি পরিহিত এবং তাদের সকলের হাতে ছিল বন্দুক। হামলার সময় সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানেও তাদের দেখা গেছে।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত দেশটির পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও এই ঘটনার সাথে পালিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীর কোনো যোগসাজশ আছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করে বলা হয়নি।

জানা গেছে ওইদিনের হামলার পর এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট নোবোয়া মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, দেশে এক 'অভ্যন্তরীণ অস্ত্র সহিংসতার' বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি। দেশকে অস্থিতিশীল করতে এসব সহিংস চক্রকে রুখতে আমরা সংঘবদ্ধ।

এদিকে ইকুয়েডরের প্রতিবেশী দেশ পেরুর সীমান্তে পুলিশি তৎপরতা জোরদার করার খবর পাওয়া গেছে।

ইকুয়েডরের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমেরিকা এই সহিংস আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। প্রয়োজনে ইকুয়েডরকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে তারা প্রস্তুত।

news24bd.tv/SC