ইরানে হামলা চালাতে চাপ অনুভব করছেন বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইরানে হামলা চালাতে চাপ অনুভব করছেন বাইডেন

অনলাইন ডেস্ক

জর্ডানে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত এবং ডজনেরও বেশি সেনা আহত হওয়ার পর থেকে ইরানে হামলা চালানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বড় যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

জর্ডানে হামলার প্রত্যুত্তরে বাইডেন ইরানের বাইরে কিংবা ভেতরে দেশটির সামরিক বাহিনী কিংবা তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারেন বাইডেন।

গত অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর ওপর কমপক্ষে ১৫০ বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে রোববারের(২৮ জানুয়ারি) হামলার আগে যতগুলো হামলা ঘটেছে কোনোটিতেই মার্কিন সৈন্যরা নিহত হয়নি।

এ কারণেই ইরানের সাথে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালানোর বৈধতা পেয়ে গেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা উত্তর দেবে, কিন্তু কবে ও কিভাবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি।

রিপাবলিকান দলের নেতারা অভিযোগ করছেন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সৈন্যরা অলস সময় পার করছে এবং কখন একটি ড্রোন কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র তাদেরকে আঘাত করবে সে অপেক্ষায় আছে। তারা বাইডেনকে ইরানে হামলা চালানোর জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছেন, কিন্তু বাইডেন যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় কালক্ষেপণ করছেন।

রিপাবলিকান দলের সিনেটর টম কটন জানান, মার্কিন সৈন্যরা মধ্যপ্রাচ্যে বসে বসে মাছি মারছে। আমাদের উচিত ইরানের ভেতরে ও বাইরে তীব্র হামলা চালানো।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সামরিক পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রধান মাইক রজার্স জানান, বাইডেনের উচিত ইরানের সন্ত্রাসী সরকার এবং তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জর্ডানে হামলার পেছনে বাইডেনের দুর্বলতা ও আত্মসমর্পণকে দায়ী করেছেন।

এসব অভিযোগের বিপরীতে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে তারা বিশ্বব্যাপী মার্কিন সৈন্যদের রক্ষার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ডেমোক্র্যাট দলের প্রতিনিধি বারবারা লি মনে করেন বাইডেন কর্তৃক ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হচ্ছে এবং আমাদের সৈন্যরা হুমকির মুখে আছে।

news24bd.tv/ab