স্বামীর হাতে খুন হলেন বিউটিপার্লার কর্মী মুন্নি

নিহত বিউটিপার্লার কর্মী মনিরা পারভীন মুন্নি - সংগৃহীত

স্বামীর হাতে খুন হলেন বিউটিপার্লার কর্মী মুন্নি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে বিউটিপার্লার কর্মী মনিরা পারভীন মুন্নিকে (৪০) খুন করার অভিযোগ উঠেছে তার বখাটে স্বামী মাহাবুবুল আলম সাগরের (৪৫) বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে। এরপর আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর জানাযা শেষে মুকসুদপুর উপজেলার লোহাইড় গ্রামের কবরস্থানে মুন্নির মরদেহ দাফন করা হয়।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিতল চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে মনিরা পারভীন মুন্নিকে হত্যা করেছে তার স্বামী।

এ ব্যাপারে এখনো থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে অভিযুক্ত মাহাবুবুল আলম সাগরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

মনিরা পারভীন মুন্নির ভাই গণমাধ্যম কর্মী মো. বজলুল করিম দারানী বলেন, আমার ছোট বোন মনিরা পারভীন মুন্নি। ২০ বছর আগে ভোলার সেলিম হাওলাদারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

প্রথম সংসারে আমার বোনের দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। মুন্নির বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। এক বছর আগে সেলিম হাওলাদারের সঙ্গে আমার বোনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ১০ মাস আগে মাহাবুবুল আলম সাগরের সঙ্গে আমার বোনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়।

তিনি আরও বলেন, সাগর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সুরমা ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করতো। মাদকাসক্ত বখাটে সাগর বিয়ের পর থেকে আমার বোনের ওপর অত্যাচর নির্যাতন করতো। দুই মাস আগে তাকে মারপিট করে ডান হাতের দুটি আঙুল ভেঙে দেয় সাগর। এরপর আমার বোন আমাদের গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। বিষয়টি মীমাংসা করে আমি আমার বোনকে স্বামীর ঘরে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ নেই। গতকাল বুধবার বিকেলে শালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পার্লার থেকে বের হওয়ার পর মাহাবুববুল আলম সাগর আমার বোনকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বজলুল করিম দারানী আরও বলেন, আজ বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত শেষে মুন্নির লাশ পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। বিকেলে লাশ দাফন করা হয়েছে। রাতে আমি বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করবো। তবে এ হত্যাকান্ডের সময় সাগরের কোনো সহযোগী তার সঙ্গে থাকতে পারে বলে আমি ধারণা করছি।

news24bd.tv/SHS 

সম্পর্কিত খবর