ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় এলে কী কী করতে পারেন!

ডোনাল্ড ট্রাম্প-ফাই ছবি।

ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় এলে কী কী করতে পারেন!

অনলাইন ডেস্ক

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিকি হ্যালির ট্র্যাম্প ও বাইডেন সম্পর্কে বলে থাকেন , তাঁরা দুজনই ‘গ্রাম্পি ওল্ড মেন’, অর্থাৎ ‘দুই হাঁদা বুড়ো’। তাঁদের বাদ দিয়ে এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের কাউকে নির্বাচিত করা।  কিন্তু বাস্তবে এই দুজনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে বলে মনে করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি লাল ও নীল, অর্থাৎ রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক—এ দুই ভাগে বিভক্ত।

এ বিভক্তির কারণ দেশটির বর্ণগত বিভক্তি। রিপাবলিকান পার্টি খোলামেলাভাবেই শ্বেতকায় নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করে। একই সঙ্গে তারা রক্ষণশীল ও খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত। যাঁরা এই ভাগে পড়ছেন, তাঁদের অনেকে সেসব অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা, যাঁরা একসময় দাসব্যবস্থা জিইয়ে রেখেছিলেন।
ট্রাম্পের স্লোগান হচ্ছে ‘ মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’।

অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টি মুখ্যত দেশের মধ্যপন্থী ও উদারনৈতিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। তাঁদের সিংহ ভাগ বাস করেন শহুরে এলাকায়, মুখ্যত দেশের পূর্বাঞ্চলীয় (আটলান্টিক-তীরবর্তী) ও পশ্চিমাঞ্চলীয় (প্রশান্ত মহাসাগর-তীরবর্তী) অঙ্গরাজ্যগুলোয়।

২০০৮ সালে বারাক ওবামা দেশের প্রথম কৃষ্ণকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় শ্বেতকায়দের এ উদ্বেগ প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শ্বেতকায়, রক্ষণশীল ও খ্রিষ্টবাদী মার্কিনদের প্রতিনিধি। দেশের ইভানজেকিক্যাল শ্বেতাঙ্গদের চোখে তিনি সাক্ষাৎ ‘যিশু’। ট্রাম্প যদি ফের ক্ষমতা বসেন তাহলে কি কি করতে পারেন এ নিয়ে চলছে হিসাব নিকাশ।
১. যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একজন ‘কাল্ট’-প্রধান বা ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। তাদের মতে, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে যুদ্ধে জড়িয়ে কোনো আমেরিকানের প্রাণ যাবে না। একমাত্র তার সময়ই যুক্তরাষ্ট কোনো যুদ্ধে জড়ায়নি।  
২. ট্রাম্প শেতাঙ্গদের অধিকার সংরক্ষণ করবেন ও খ্রীষ্টীয় মূল্যবোধ জাগ্রত রাখবেন।
৩. অভিবাসন আইনে রক্ষণশীলতার পরিচয় দেবেন। অভিবাসন নীতিমালায় এমন উদারতা দেখাবেন না যাতে যুক্তরাষ্ট্রের  মুল নাগরিককরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
৪. মেক্সিকোর ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত নিবেন যাতে ওই দেশ থেকে মাদক আসা বন্ধ হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তরুণ প্রজন্ম মাদকাসক্ত।  
৫. ট্রাম্প নির্বাচিত হলে উত্তর আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটো জোটের অস্তিত্ব থাকবে না। আমেরিকার প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর দিয়েছে।

গত মাসে লাস ভেগাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাচনী সভায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “ন্যাটো জোটের জন্য আমেরিকা বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করছে কিন্তু বিনিময়ে আমরা তেমন কিছু পাচ্ছি না। ” সেসময় তিনি আরো বলেছিলেন, "আমাদের যদি কখনো তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে বলুন আমরা হামলার শিকার হয়েছি, তখন তারা কেউ থাকবে না বলে আমি বিশ্বাস করি । "

news24bd.tv/ডিডি