চট্টগ্রামকে উড়িয়ে শীর্ষস্থান পোক্ত রংপুরের

শুরুতেই ব্রেকথ্রু এনে দেওয়া সাকিব আল হাসানকে ঘিরে রংপুর খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস - বিসিবি

চট্টগ্রামকে উড়িয়ে শীর্ষস্থান পোক্ত রংপুরের

অনলাইন ডেস্ক

মিরপুরে রংপুর-চট্টগ্রামের লড়াইটা ছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখলের। যে লড়াইয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে কোনো পাত্তাই দিলো না রংপুর রাইডার্স। আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামকে ৫৩ রানে হারিয়েছে রংপুর। এ জয়ে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করলো নুরুল হাসান সোহানের দল।

  

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে রংপুর আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে তোলে ২১১ রান, যা এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সেই রান তাড়ায় নেমে ১৫৮ রানেই থামে চট্টগ্রামের রানের চাকা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই রান তুলতে খাবি খেয়েছে চট্টগ্রাম। একদিকে নিয়মিত বিরতিতে গেছে উইকেট, সেই কারণে আসে প্রয়োজনীয় রানও।

চট্টগ্রামকে তৃতীয় ওভারে প্রথম বোলিংয়ে এসেই ধাক্কা দেন সাকিব আল হাসান। জশ ব্রাউনকে (১০) বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর রয়ে-সয়ে পাওয়ারপ্লে কাটান সৈকত আলী ও টম ব্রুস। কিন্তু দরকারের সময় রান তোলার গতি বাড়ানো হয়নি তাদের। এর আগেই ইমরান তাহিরে ঘায়েল হন 1৪ রান করা ব্রুস। কিছুক্ষণ পর সাহাদাত হোসেন দীপুকে (৯) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান সাকিব।  

শুরু থেকেই রিকোয়ার রান রেট ১০ এর ওপরে থাকলেও প্রথম ১০ ওভারে চট্টগ্রাম তুলতে পারে মাত্র ৪৯ রান। শেষ ওভারে রান তোলার গতি বাড়ালেও তাই বড় হার এড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম। শুরুতে কচ্ছপ গতিতে ব্যাটিং করা সৈকত করেন ৬৩ রান। শেষে দ্রুত রান তুললে ৪৫ বলে এই ইনিংস খেলেন তিনি। শুভাগত হোম মাত্র ১৩ বলে ৩১ রানও কাজে আসেনি চট্টগ্রামের।  

এদিকে, ব্যাট হাতে ঝোড়ো ফিফটির বল হাতেও ২ উইকেট নেন জিমি নিশাম। ফেরান ২১ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফার এবং ১ করা শহীদুল ইসলামকে। রংপুর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত এমন বোলিংয়েই ৬ উইকেটে ১৫৮ রানে থামে চট্টগ্রামের রানের চাকা।

এর আগে, মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন রংপুরের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও রেজা হেনড্রিকস। উদ্বোধনী জুটিতেই দলীয় স্কোরবোর্ডে তারা যোগ করেন ৬১ রান। ১৭ বলে ২৪ রান করে রনি ফিরতে ভাঙে এ জুটি। আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হেনড্রিকস অবশ্য পেয়ে যান ফিফটির দেখা। সাকিবকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তিনি আরও যোগ করেন ৬০ রান।  

সাকিব আল হাসান তিনে নেমে শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। তবে উইকেটে লম্বা সময় টিকে থাকা হয়নি তার। ১৬ বলে ২৭ রান করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। সাকিব ফেরার পর স্কোরবোর্ডে আর ১ রান যোগ হতে উইকেট দেন হেনড্রিকসও। এই প্রোটিয়া ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে 5৮ রান।

এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি রংপুর। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে রংপুরকে এনে দেন বিশাল সংগ্রহ। সোহানের ব্যাটে ২১ বলে আসে ৩১ রান। নিশাল ছিলেন আরও মারকুটে। মাত্র ২৬ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাদের ৮৯ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২১১ রান তোলে রংপুর।  

চট্টগ্রামের হয়ে কমবেশি সবাই আজ ছিলেন খরুচে। তবে ২ ওভারে ১৫ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন সালাউদ্দিন শাকিল। ১ উইকেট পেতে নিহাদুজ্জামানকে খরচ করতে হয়েছে ২৭ রান।

news24bd.tv/SHS