এবার সেনাবাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটিতে আরাকান আর্মির আক্রমণ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আন শহরে সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। ছবি ইরাবতি।

এবার সেনাবাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটিতে আরাকান আর্মির আক্রমণ

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আন শহরে সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। শহরটিতে মিয়ানমার জান্তার পশ্চিমাঞ্চলের মিলিটারি কমান্ড রয়েছে।  

থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, আন শহরটি রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে মাগুই অঞ্চলকে যুক্ত করেছে। এখানে সিত্তে–ইয়াংগুন ও মিনবি–আন মহাসড়ক রয়েছে।

আরাকান আর্মি জানিয়েছে, তারা মাগুই অঞ্চলের নগাপে শহরে থাকা সেনা সদস্যদের আক্রমণ করছেন। নগাপে দিয়ে আন–মিনবু সড়ক চলে গেছে।  

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আন শহরের লোন গ্রামের কাছে জান্তার ২৪৬ লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন এবং অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে।  

বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি বলছে, সংঘাতের সময় জান্তা বাহিনীর ড্রোন ও যুদ্ধবিমান দিয়ে তাদের পদাতিক বাহিনীকে সহযোগিতা করে।

সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৫ জান্তা সেনা নিহত ও ১৫ জন আহত হওয়ার দাবি করেছে গোষ্ঠিটি। এ সময় আরাকান আর্মির অন্তত দুজন সদস্য সামান্য আহত হয়।  

একই দিন নগাপে শহরের টোন গি গ্রামের কাছে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে জান্তা বাহিনীর ৪ সেনা নিহত ও ৮ জন আহত হয়। একই সময় চাউঙ ফিয়ার গ্রামেও সংঘর্ষের তথ্য পাওয়া গেছে। এ সময় ৬ জন জান্তা সেনা নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আরাকান আর্মি। বিদ্রোগী গোষ্ঠিটি বলছে, তারা এ সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।  

মিয়ানমারের একজন সামরিক বিশ্লেষক জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের হাতে আন শহরের পতন হলে রাখাইনে জান্তার সামরিক কমান্ড সিস্টেমেরও পতন হবে। এটিই রাখাইনের মুল প্রবেশ পথ।  
  তীব্র সংঘাতের মধ্যে আন শহরের পাশ্ববর্তী মা–ই শহর থেকে সরে গেছে জান্তা বাহিনী। এ সময় আন–টউঙগাপ সড়কের কয়েকটি সেতু তারা উড়িয়ে দেয়। আন শহরের পাশের আরেকটি শহর মিবোন এরই মধ্যে দখল করেছে আরাকান আর্মি।  

গত বছরের ১৩ নভেম্বরের পর এখন পর্যন্ত রাখাইন এবং চীন রাজ্যের পালেতওয়া শহরে জান্তার ১৭০টি অবস্থানের পতন ঘটিয়েছে আরাকান আর্মি। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তর রয়েছে। পালেতওয়া এবং রাখাইনের ১৭টির মধ্যে ৬টি শহরের পূর্ন দখল এখন আরাকান আর্মির।  

news24bd.tv/aa