যে আমলে রিজিক বৃদ্ধি পায়

যে আমলে রিজিক বৃদ্ধি পায়

যে আমলে রিজিক বৃদ্ধি পায়

অনলাইন ডেস্ক

রিজিক আল্লাহর তরফ থেকে নির্ধারিত হয়। আল্লাহ তাআলাই আমাদের রিজিকদাতা। নবীজি আমাদের এ পৃথিবীতে সুখে থাকার পদ্ধতি পন্থা বলে দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন কী করলে আমরা দুনিয়া আখেরাতে সুখী হবো।

অথচ মানুষ সুখের জন্য এ দুনিয়ায় কী না করে।

সুখ ও বরকতময় জীবন লাভের পাথেয় ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন নবীজি। তিনি নিজে আমল করেছেন। উম্মতকেও আমল করতে বলেছেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মতি ফজরের নামাজের পরপরই আল্লাহর কাছে হালাল রিজিক কামনা করতেন।

এমন জ্ঞান কামনা করতেন, যাতে মানুষের উপকার হয়। আর নিজের আমলগুলো কবুল হওয়ার জন্যও প্রার্থনা করতেন। এটি মূলত উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো একটি দোয়া ও নসিহত। হাদিসে এসেছে-
 
হজরত উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাজ পড়ে সালাম ফিরিয়ে বলতেন-
 
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
 
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআ ওয়া রিযকান তায়্যিবা ওয়া আমালান মুতাকাব্বিলা।
 
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করছি, উত্তম-পবিত্র রিজিক কামনা করছি এবং কবুল হওয়ার মতো কর্ম তৎপরতা কামনা করছি। ’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)

কোরআনে আল্লাহ তার নবী নুহের আ. ঘটনায় উল্লেখ করেছেন, নুহ আ. তার জাতিকে বলেছিলেন, তোমরা আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করো, ইস্তিগফারের বরকতে আল্লাহ বৃষ্টি দান করবেন, তোমাদের সম্পদ ও সন্তান সন্ততিতে বরকত দান করবেন। আল্লাহ বলেন,
 
فَقُلۡتُ اسۡتَغۡفِرُوۡا رَبَّکُمۡ اِنَّهٗ کَانَ غَفَّارًا یُّرۡسِلِ السَّمَآءَ عَلَیۡکُمۡ مِّدۡرَارًا وَّ یُمۡدِدۡکُمۡ بِاَمۡوَالٍ وَّ بَنِیۡنَ وَ یَجۡعَلۡ لَّکُمۡ جَنّٰتٍ وَّ یَجۡعَلۡ لَّکُمۡ اَنۡهٰرًا

আর বলেছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান- সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা দেবেন আর দেবেন নদী-নালা। (সুরা নুহ: ১০-১২)
 
ছোট্ট একটি দোয়ায় রিজিকের ব্যবস্থা
আস্তাগফিরুল্লাহ। আস্তাগফিরুল্লাহ। আস্তাগফিরুল্লাহ। আস্তাগফিরুল্লাহ। এটা কি খুব বেশি বড় দোয়া? না খুবই ছোট্ট একটি দোয়া। পৃথিবীর মাঝে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় কত যে শান্তি ও সুখ পাওয়া যায় এটা আমল করেই দেখা উচিত।  

 হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, যদি কেউ বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, আল্লাহ তাআলা তাকে সকল প্রকার দুর্দশা থেকে মুক্তি দান করেন, হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ দান করেন। তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। (আবু দাউদ)
 
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি তার পাপাচারের জন্য ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিয়মিত আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাইবে, আল্লাহ তাআলা তার দারিদ্র্য ঘুচিয়ে দেবেন। তাকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে সচ্ছলতা ও নিরাপত্তা দান করবেন। সে আল্লাহর রহমতে এমন উৎস থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হবে, যা সে চিন্তাও করেনি।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের কোনো গুনাহ ছিল না। তিনি ছিলেন নিষ্পাপ। এরপরও তিনি দিনে-রাতে প্রচুর পরিমাণ ইস্তেগফার পাঠ করতেন। আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে দোয়া করতেন।

হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামকে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর কসম! আমি প্রত্যহ আল্লাহর কাছে ৭০ বারেরও বেশি ইস্তেগফার ও তাওবা করে থাকি। ’ (বুখারি, হাদিস ৬৩০৭) 
 
news24bd.tv/aa

এই রকম আরও টপিক