ইশতেহারে নেই নাগরিকত্ব আইন, ৩৭০ ধারা ইস্যু: প্রশ্নের মুখে কংগ্রেস

সংগৃহীত ছবি

ইশতেহারে নেই নাগরিকত্ব আইন, ৩৭০ ধারা ইস্যু: প্রশ্নের মুখে কংগ্রেস

অনলাইন ডেস্ক

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস নিজেদের ইশতেহারে রাফায়েল ইস্যু থেকে পেগাসাস নজরদারি, ইলেক্টরাল বন্ড নানা প্রসঙ্গ স্পর্শ করেছে। তবে কংগ্রেসের ইশতেহারে সংশোধিত নাগরিত্ব আইন (সিএএ), জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের মতো বিতর্কিত ইস্যুগুলো অনুপস্থিতি দলটিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। কেননা এই ইস্যুগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের ইশতেহারে সিএএ প্রসঙ্গ কেন রাখা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতজুড়ে সিএএ কার্যকর করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান নিয়ে  কংগ্রেস লোকসভার ভেতরে ও বাইরে বিরোধিতা করে আসছে। এই আইন অন্যায্যভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করেছে দাবি করে দলটি উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।

কিন্তু নিজেদের ইশতেহারে এই আইনের প্রসঙ্গ নেই।

এই বিষয়ে কংগ্রেস বলছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ভোটের আগেই রায়দানের সম্ভাবনা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট যদি  এই  আইনকে বৈধতা দেয়, তাহলে ইশতেহারে সেটা প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিলে দল অস্বস্তিতে পড়বে। এদিকে ক্ষমতায় গেলে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি ইস্যুটিও এড়িয়ে গেছে কংগ্রেস।

এই ধারাটির কারণে বিশেষ মর্যাদা ভোগ করত জম্মু-কাশ্মীর। মোদি সরকার এই ধারাটি বাতিল করে। সম্প্রতি কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনে ওল্ড পেনশন স্কিমকে ইস্যু করে সাফল্য পেয়েছিল কংগ্রেস। তবে লোকসভা নির্বাচনী ইশতেহারে এই ইস্যুটি রাখেনি কংগ্রেস।  

এদিকে কংগ্রেসের ইশতেহারের সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি।

উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের ইশতেহার মুসলিম লীগ ও বামপন্থীদের দ্বারা প্রভাবিত। এ ছাড়া বিজেপিবিরোধী জোট ইন্ডিয়া ব্লককে নিশানা করে মোদি বলেছেন, যেখানে বিজেপি দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে চায়, সেখানে বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের লক্ষ্য হলো ক্ষমতায় আসার পরে কমিশনের মাধ্যমে উপার্জন করা।

তিনি বলেন, নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। আর বিরোধীরা লড়াই করছে শুধু বিজেপি যাতে ৩৭০টি আসনে পৌঁছতে না পারে তার জন্য।

news24bd.tv/DHL