গাজার আর দশটি শহরের মতো রাফা জনবহুল শহর। । স্থায়ী বাসিন্দা তিন লাখের মতো হলেও গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা আরও ১৪ লাখ উদ্বাস্তু রয়েছে এ শহরে। এরা সবাই এখন ভয়ে দিন রাত পার করছেন।
কারণ ইসরায়েলের নেতানিয়াহু এরিমাঝে ঘোষণা দিয়েছেন, যে কোনো সময় রাফায় হামলা করবেন। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ইসরায়েল হেওম এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।সংবাদপত্রটির মতে নেতানিয়াহুর এই যুদ্ধ পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্রয় রয়েছে। এরিমধ্যে বিশ্বনেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মোতাসেম দালৌল তিনটি কারণও উল্লেখ করেছেন, সেগুলো এরকম :
বন্দীদের মুক্ত করা : নেতানিয়াহু হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্ত করে আনতে পারেন একটা চুক্তির মধ্য দিয়ে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলের জেলে আটক ফিলিস্তিনি শিশু ও নারীদের মুক্তির বিনিময়ে বন্দীদের মুক্তি দিতে চেয়েছে। কিন্তু এ যুদ্ধে নেতানিয়াহু জড়ালে অনেক ইসরায়েলি বন্দী প্রাণ হারাতে পারেন।
জনপ্রিয়তা কমবে: যদি ইসরায়েলি বন্দী প্রাণ হারায় তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই নেতানিয়াহু তার দেশে জানপ্রিয়তা হারাবেন। এতে দেশের সেনাবাহিনীর ভেতরে একটা বড় অংশ তার বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। ইসরায়েলের অনেক লেখক, সামরিক ও কৌশলবিদ নেতানিয়াহুকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে: রাফা শহরে যারা অবস্থান করছেন তাদের পিঠ শেষ দেয়ালে গিয়ে ঠেকেছে। দীর্ঘদিনের নির্যাতন সহ্য করে তারা যেমন যুদ্ধকে উপেক্ষাও করতে চায় একইসঙ্গে প্রতিরোধপর্বও ইতোমধ্যে তৈরি করেছে। তাদের কাছে ব্যাপারটা এরকম যে জান দিবো কিন্তু একবিন্দু ছাড় দিবো না।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ওপর এদিকে বৈশ্বিক চাপ রয়েছে যে সাধারণ মানুষ যাতে হতাহত না হয়। ফলে তারা এ যুদ্ধে জড়ালে অবশ্যই নেতানিয়াহুর মতো হিংস্র আচরণ না করার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পরিবারের অনেক সদস্যরাও হামাসের হাতে বন্দী রয়েছেন। ফলে খুবই মারমূখী সম্ভাবনায় যাওয়ার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে রাফার প্রতিরোধী মানুষরা রুখে দিতে পারে এবং সেটাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
news24bd.tv/ডিডি