জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিক দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তারা চট্টগ্রামের এমভি জাহান মণি জাহাজে বন্দর জেটি এলাকায় আসেন। সোয়া চারটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে একে একে নামেন নাবিকরা। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অপেক্ষমাণ স্বজনরা।
এমভি আবদুল্লাহর নাবিক আলী হোসেনের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তার বাবা-মা অসুস্থ।
আরেক নাবিক নুরউদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘জীবনে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। গত রাত থেকে ঘুমাতে পারছি না। কখন তাকে দেখব। ’
নাবিক ছালে আহমদের স্ত্রী তানিয়া আকতার বলেন, ‘আজকের দিনটি খুবই আনন্দের। ’
এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, কেএসআরএমের পরিচালক, সিইও এবং বন্দরের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে গত ৪ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। ১৯ মার্চ জাহাজটি এসব পণ্য নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এদিকে মাপুতু বন্দর থেকে রওনা হওয়ার চার দিন পর গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।
এরপর দীর্ঘ ৩৩ দিনের জিম্মিদশা থেকে গত ১৩ এপ্রিল ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। মুক্ত হওয়ার আট দিনের মাথায় গত ২১ এপ্রিল নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ দুবাই পৌঁছে। জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহিনোঙর থেকে ওই বন্দরের জেটিতে ভিড়ে ২২ এপ্রিল। এরপর ওই বন্দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাসের পর নতুন ট্রিপের পণ্য (চুনা পাথর) লোড করতে পার্শ্ববর্তী ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় জাহাজটি। সেখানে ৫৬ হাজার টন চুনা পাথর নিয়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ গত ৩০ এপ্রিল দুবাই মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের পথে রওনা হয়। অবশেষে সেই জাহাজটি গতকাল দুপুরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে।
news24bd.tv/আইএএম