চেয়ারম্যান পদে হরিণাকুন্ডুতে ত্রিমুখী, শৈলকূপায় দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

চেয়ারম্যান পদে হরিণাকুন্ডুতে ত্রিমুখী, শৈলকূপায় দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

রাতে পোহালেই ঝিনাইদহের দুই উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

হরিণাকুণ্ডুতে চেয়ারম্যান পদে শাহিনুর রহমান রিন্টুকে (মোটরসাইকেল মার্কা) সমর্থন দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি সফিকুল ইসলাম অপু। সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিককে (আনারস মার্কা) সমর্থন দিয়ে মাঠে কাজ করছেন এমপি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের কর্মী-সমর্থকেরা।

আর রানা হামিদকে (দোয়াত-কলম মার্কা) সমর্থন দিয়ে কাজ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু।

এ কারণে এই উপজেলায় তিন প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে স্থানীয় ভোটাররা ধারণা করছেন।

এদিকে, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমির হোসেন টিউবওয়েল, এসআর আব্দুস সালাম তালা, গোলাম রহমান মাইক, রাফেদুল হক টিয়া পাখি, সাজেদুল ইসলাম চশমা ও হামিদ পারভেজ উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে লড়বেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুচিত্রা রানী সাধু খা হাঁস, জেসমিন খাতুন ফুটবল ও নাছিমা আক্তার মায়া কলম নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়াই করবেন।

অপরদিকে শৈলকূপায় চেয়ারম্যান পদে মোস্তফা আরিফ রেজা মোটরসাইকেল, শামীম হোসেন মোল্লা দোয়াত-কলম ও নিলুফা ইয়াসমিন আনারস প্রতীকে লড়ছেন। এ উপজেলায় মোটরসাইকেল ও দোয়াত-কলম প্রতীকের মধ্যে দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে জানা গেছে।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ তালা, আমিরুল ইসলাম উড়োজাহাজ, জাহিদুন্নবী কালু চশমা ও ওয়াহিদুল ইসলাম টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে লড়বেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাফিয়া খাতুন কলম, আফরোজা নাসরিন লিপি হাঁস ও রাফেজা খাতুন ফুটবল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

হরিণাকুণ্ডুর মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ১২৭। পুরুষ ভোটার ৮৪ হাজার ৭৪ জন ও মহিলা ভোটার ৮৩ হাজার ৫০ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন তিনজন। শৈলকূপায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ৩০২ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪০ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৬২ জন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায় জানান, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে এ দুই উপজেলায় দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পাঁচটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ৯ প্লাটুন বিজিবি ও পুলিশের ৪৮টি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবেন।

শৈলকূপায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২১টি এবং হরিণাকুণ্ডুতে ৭২টি। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে চারজন পুলিশ ও ১৪ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া র‍্যাবের ৮টি মোবাইল টিম থাকবে।

news24bd.tv/SHS