বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্নিঝড় প্রবল বেগে উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে, যদিও তা এখন কিছুটা দূর্বল হতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব থেকে জান-মাল রক্ষায় উপকূলীয় জেলাগুলোয় আনসার-ভিডিপির দশ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতও জারি করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় উপকূলীয় ১২ জেলায় তাদেরকে চার দিনের জন্য মোতায়েন করেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
শনিবার (২৫ মে) বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে এক ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে এসব কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশাবলী জারি করা হয়। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সহকারী পরিচালক (ভিডিপি প্রশিক্ষণ) ও গণসংযোগ কর্মকর্তা (অতি. দায়িত্ব) মো. রুবেল হোসাইন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিলপূর্বক স্টেশনে অবধারিতভাবে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কমান্ডার ও জেলা কমান্ড্যান্টগণ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং ক্ষেত্র বিশেষে নিজ উদ্যোগে দুর্গত মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা ও মাইকিং করে প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছেন।
এছাড়াও আনসার-ভিডিপি সদস্যগণ স্থানীয়দের গৃহপালিত প্রাণী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে সহায়তা করছেন। সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ, ব্যাটালিয়ন ও জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
রুবেল হোসাইন আরও জানান, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতা-দলনেত্রী, উপজেলা ও ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ও সহকারী আনসার কমান্ডারদের ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য, আনসার ও ভিডিপি সদস্য/সদস্যাদের নিয়োজিত করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
news24bd.tv/DHL