ইউএসএ’র বিরুদ্ধে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে এই একমাত্র জয়ের কী গুরুত্ব হতে পার? বিশেষ করে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে? বাংলাদেশ দলের সমস্যা দুটি। প্রথমত, আত্মবিশ্বাসের তীব্র অভাব, সেটি দলীয় এবং ব্যক্তিগত দুদিকেই, এবং দ্বিতীয়ত টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। এই বিশাল জয় দলকে নিশ্চয়ই কিছুটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে। তবে আত্মবিশ্বাসের পারদটা যে জায়গায় থাকার কথা কেবলমাত্র একটি জয় হয়তো সেজন্য যথেষ্ট নয়।
ছোট টার্গেট চেজ করতে গিয়ে আমরা ধীর গতিতে খেলিনি, এ ব্যাপারটি ভালো লেগেছে। তানজিদ তামিমের মধ্যে কোনো ধরনের জড়তা না থাকা অত্যন্ত ভালো লক্ষণ। শুরুতে সৌম্যের মধ্যে কিছুটা জড়তা থাকলেও পরের দিকে যথেষ্ট ফ্লুয়েন্ট মনে হয়েছে। তবে আমাদের ওপেনিংয়ের সমস্যার সমাধান হয়ে গেলো সেটি বলার সময় বোধহয় এখনো আসেনি। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের অন্তত একটিতে আবারও তাদের বড় একটি জুটি গড়তে হবে। তাহলেই হয়তো বাংলাদেশ যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে মূল পর্ব শুরু করতে পারবে। প্রথম ম্যাচে শেষের দিকে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও ওভারঅল আমরা প্রায় সব ম্যাচই ভালো বোলিং করেছি।
সিরিজের শেষ ম্যাচে মুস্তাফিজ এবং রিশাদ দু’জনই ছিল আউটস্ট্যান্ডিং। পুরো সিরিজজুড়েই সবচাইতে নিয়ন্ত্রিত বল করেছে রিশাদ। একথা আমি ওর ইকোনোমি বা উইকেট সংখ্যা দেখে বলছি না। আরও একটু অভিজ্ঞতা ওকে হয়তো পৃথিবীর সেরা বোলারদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেবে। আশা করছি মূল পর্বেও ওকে ম্যাচ উইনিং বোলার হিসেবেই দেখবো। মাহমুদউল্লাহও দুই ওভার বল করেছে এবং ভালো বল করেছে। দলে ওর এই ভূমিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলে মাত্র পাঁচজন স্পেশায়ালিস্ট বোলার থাকায় ক্যাপ্টেনের জন্য এই অপশন থাকা অত্যন্ত জরুরি ছিল।
সব শেষে, আশা করব খেলোয়াড়েরা সমালোচনা এবং প্রশংসা দুটিই বিনয়ের সাথে এবং একই স্পিরিটে গ্রহণ করবে। এটিও কিন্তু খেলারই একটি অংশ। ক্রিকেট ফ্যান এবং মিডিয়া দলের পাশে থাকলে তা দলকে কতটা উজ্জীবিত করতে পারে, অনুপ্রাণিত করতে পারে, সেটি আমরা সবাই অনুধাবন করতে পারি। বাংলাদেশ দলেরও জানা উচিত পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন দিন শেষে আমরা সবাই দলের পাশেই থাকি।
লেখক: ক্রিকেট উপদেষ্টা, বিকেএসপি।
news24bd.tv/ডিডি