‘হেড ইনজুরির পর দ্রুত চিকিৎসা নিলে সুস্থতার হার বাড়ে’

সংগৃহীত ছবি

‘হেড ইনজুরির পর দ্রুত চিকিৎসা নিলে সুস্থতার হার বাড়ে’

নিউজটোয়েন্টিফোর হেলথ

‘মাথার ত্বক, খুলি বা মস্তিষ্কে যে কোন আঘাতকে হেড ইনজুরি বা মস্তিষ্কে আঘাত বলে। যে কােন কারনে মস্তিষ্কে আঘাত হতে পারে। বাংলাদেশে হেড ইনজুরির প্রধান কারণ হলো সড়ক দুর্ঘটনা। এ ছাড়া গাছ বা দালান থেকে পড়ে যাওয়া, মারামারি, খেলাধুলার সময়, শক্ত স্থানে বা বাথরুমে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে মানুষ মাথায় আঘাত পেয়ে থাকেন।

 

মাথার আঘাত হালকা, মাঝারী ও গুরুতর ধরনের হয়। আঘাতের পর রোগীর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি হওয়া, নাক দিয়ে রক্ত বা পানি আসা, কান দিয়ে রক্ত বা পানি আসা ইত্যাদি হলো গুরুতর লক্ষণ। তবে কার কোন ধরনের ইনজুরি হয়েছে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। তাই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

এই দূর্ঘটনার গোল্ডেন আওয়ার বা সময় তিন থেকে চার ঘন্টা। এই সময়ের মধ্যে সঠিক নিউরোলজিক্যাল চিকিৎসা নিলে রোগীদের সুস্থতার হার বাড়ে। এ ব্যাপারে দরকার ব্যাপক সচেতনতা। ’

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বাংলাদেশের প্রথম জেসিআই স্বীকৃত এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার আয়োজনে ‌হেড ইনজুরি বা মাথার আঘাত শীর্ষক সচেতনতামূলক পেশেন্ট ফোরামে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ডা. মো. জিল্লুর রহমান, নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর (কর্নেল) ডা. মু. আমিনুল ইসলাম, নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আলিউজ্জামান জোয়ার্দার, এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের এমডি ও সিইও ডা. রত্নদীপ চাষ্কার এবং মেডিক্যাল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য জটিলতা বিষয়ে চিকিৎসকরা নিজ নিজ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। পেশেন্ট ফোরামে হেড ইনজুরির কারণ ও করণীয় এবং কীভাবে তা রোগীর জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ডা. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘হেড ইনজুরি প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। সাধারণত গোল্ডেন আওয়ার হিসেবে দূর্ঘটনা ঘটার তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যে সঠিক নিউরোলজিক্যাল চিকিৎসা নিলে রোগীদের সুস্থতার হার বাড়ে। '

নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর (কর্নেল) ডা. মু. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নিউরোসার্জিকাল সেবার গুণগত মান নিশ্চিত করা কেবল মাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য নয় বরং প্রতিশ্রুতিও। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকায় আমরা নিউরোলজিক্যাল স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নিতে এবং রোগীদের সর্বোচ্চ মানের যত্ন এবং সেবা প্রদান করতে সবর্দা সচেষ্ট। ’

নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আলিউজ্জামান জোয়ার্দার বলেন, ‘হেড ইনজুরি একটি সেনসেটিভ বিষয়। তাই তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই চিকিৎসকসহ সবাইকে এর প্রতিরোধে একসাথে কাজ করতে হবে। কেননা সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগীদের জন্য আরো নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব। ’

এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে এভারকেয়ার হাসপিটালের নিষ্ঠার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আপনারা জানেন, এই ধরনের আঘাত খেলাধুলা, দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে, যা ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আমরা আজকের এই ফোরামের আয়োজন করেছি। আশাকরি, এর মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। '

news24bd.tv/health

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর