এক দফা অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে দেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকেই তিন দিন ধরে দেশে কার্যত কোনো সরকার নেই। সেই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পেট্রোপোল এবং রানাঘাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) দলজিৎ সিং চৌধুরি।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, পেট্রাপোলে যাত্রীদের যাতায়াতের টার্মিনাল এবং মাল পরিবহণের টার্মিনাল ঘুরে দেখেন দলজিৎ সিং। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাহিনীর সদস্যদের এই স্থলবন্দর পাহারায় কী কী সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, সেসবও শোনেন দলজিৎ।
বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধিতে বারবার জোড় দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। এই আবহে সীমান্ত দিয়ে কোনও মতেই যাতে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান না ঘটে, সে দিকে নজর রাখতে বাহিনীকে জোড় দিতে বলা হয়েছে। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য বিএসএফকে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন তিনি। বাহিনীকে বাড়তি সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন।
বিএসএফ মনে করছে, চলমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও অন্যান্য গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর তার দল তথা আওয়ামী লীগের সদস্য, সমর্থকরাও নানা উপায়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুলত, যে এলাকায় কাঁটাতার নেই, সেই অংশে বাড়তি নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বিএসএফ এর সদস্যরা। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরে মেহদিপুর, হিলি, ফুলবাড়ি, চ্যাঙরাবান্ধায় বিশেষ নজর রয়েছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে সীমান্তে বাহিনী নজরদারিও বাড়িয়েছে।
news24bd.tv/DHL