আরবের সৎ, জ্ঞানী, শক্তিশালী ও যোগ্য ব্যক্তিদের একজন ছিলেন হজরত আত্তাব ইবনে আসিদ (রা.)। তাঁর উপনাম: আবু আবদুর রহমান বা আবু মুহাম্মদ। পিতার নাম আসিদ। মায়ের নাম আরওয়া বা জায়নাব, যিনি বনু উমাইয়া গোত্রের কন্যা। তিনি মক্কার খ্যাতনামা কুরাইশ গোত্রের বনু উমাইয়া শাখার সন্তান। তৎকালীন যুগে তাঁকে আরবের সম্ভ্রান্তদের একজন বিবেচনা করা হতো। হিজরতের ১৩ বছর আগে তাঁর জন্ম। মক্কা বিজয়ের সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। হুনাইনের যুদ্ধে যাওয়ার সময় রাসুল (সা.) তাঁকে মক্কার আমেল (প্রশাসক) হিসেবে নিয়োগ দেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২০ বছর পেরিয়েছে। আল্লামা যুরকানির মতে তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর। তিনি নামাজের ইমামতি করেন এবং ঐ বছর হজের নেতৃত্ব দেন। এরপর হজরত আবু বকর (রা.)-এর খেলাফতের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ঐ দায়িত্বে বহাল ছিলেন। ইন্তেকাল ইবনে আসির (রহ.) বলেন, আল্লামা ওয়াকিদির বর্ণনা অনুযায়ী,...
রাসুল (সা.) কর্তৃক নিযুক্ত মক্কার দায়িত্বশালী
মাইমুনা আক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

শারজাহর মসজিদে প্রযুক্তির ছোঁয়া
আহমাদ রাইদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামী মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়া এবং ধর্মীয় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শারজাহ ইসলামিক বিষয়ক বিভাগ আমিরাতজুড়ে প্রধান মসজিদগুলোতে ১৫০টি স্মার্ট স্ক্রিন স্থাপনের একটি যুগান্তকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই উদ্যোগের মাধ্যমে ধর্মীয় বার্তা সহজভাবে পৌঁছে দেওয়া এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে। এই স্মার্ট স্ক্রিনগুলোতে কোরআনের আয়াত, হাদিস, ইসলামি আদর্শ ও মূল্যবোধভিত্তিক নানা সচেতনতামূলক বার্তা আকর্ষণীয় ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট আকারে উপস্থাপন করা হয়। এসব বার্তা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবনের বিভিন্ন দিক স্পর্শ করে, যা ধর্মীয় শিক্ষাকে আরও হূদয়গ্রাহী করে তোলে। স্ক্রিনগুলো মসজিদে আয়োজিত ধর্মীয় বক্তৃতা ও পাঠ কার্যক্রমের সময়সূচি, নামাজের সময়, মসজিদে প্রাপ্ত সেবাসমূহ এবং বিভাগীয় যোগাযোগ পদ্ধতি সম্পর্কেও স্পষ্ট ও...
আল্লাহর জন্য ত্যাগের অমূল্য প্রতিদান
মুফতি ওমর বিন নাসির
নিজস্ব প্রতিবেদক

যেকোনো ত্যাগ-তিতিক্ষার সর্বোত্তম প্রতিদান মহান আল্লাহর কাছে মেলে। শুধু ক্ষণস্থায়ী সুখ নয়, বরং এর জন্য আছে চিরস্থায়ী পুরস্কার, যা প্রতিশ্রুত হয়েছে পবিত্র কোরআনে ও নবী করিম (সা.) এর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে। একটি চিরন্তন সত্য হলোকোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর জন্য কিছু ত্যাগ করে, আল্লাহ তাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু দিয়ে পুরস্কৃত করেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো কিছু ত্যাগ করে, বাস্তবিক অর্থে সে কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। যদি তা মানুষের দৃষ্টিতে ক্ষতি বলেই মনে হয়। বরং সে একজন সৌভাগ্যবান ব্যবসায়ীর মতো, যে লেনদেন করে মহান আল্লাহর সঙ্গে। আর আল্লাহর সঙ্গে যে ব্যবসা করে, সে কখনোই ক্ষতির মুখ দেখে না; সবসময় সে লাভবান হয়। হাসান বসরি (রহ.) বলেন, একবার সুলাইমান (আ.) আল্লাহর দেওয়া সৌন্দর্য ও সম্পদের মধ্যে একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হন। তিনি তাঁর প্রিয় ঘোড়াগুলোর প্রতি...
ইহুদি জাতির যে ইতিহাস জানা জরুরি
আসআদ শাহীন

ইহুদি ধর্ম এমন একটি আসমানি বা ঐশী ধর্ম, যার ভিত্তিভূমি গঠিত হয়েছে তাওরাত, তালমুদ এবং ইহুদি পণ্ডিত, মুফতি ও বিচারকদের ফতোয়া ও সিদ্ধান্তের ওপর। যদিও এটি আল্লাহপ্রদত্ত একটি ধর্ম, তবু যুগের পরিবর্তন, বিশ্বায়নের প্রভাব ও ইহুদিদের অতিরিক্ত পার্থিবতাপূর্ণ জীবনাচরণের দরুন এই ধর্ম এত বিপুল পরিমাণে উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে গেছে যে এর মূল সত্তা প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ধর্মে এতধিক বিকৃতি ও সংযোজন ঘটেছে যে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ইহুদি ধর্মের প্রাথমিক বিশুদ্ধ রূপ শনাক্ত করা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু বর্তমান কালের প্রেক্ষিতে ইহুদি ধর্মকে বুঝতে হলে ইহুদি ইতিহাস এবং অন্যান্য জাতিসমূহের সঙ্গে ইহুদিদের সম্পর্কএই দুইয়ের বিশদ অধ্যয়ন একান্ত অপরিহার্য। ইহুদিদের আহলে কিতাব বা কিতাবধারী বলা হয় এবং তারা নিজেদের ধর্মের সূচনা আব্রাহাম (ইব্রাহিম) আলাইহিস সালাম থেকে করে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর