চলমান বাংলাদেশ অতিক্রম করছে এক সংকটাপন্ন সময়। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কাঠামো, জাতীয় চেতনা এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ওপর যে বহুমুখী আক্রমণ শুরু হয়েছে তার একটাই লক্ষ্য : বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বাংলাদেশ বিরোধী অপরাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী আদর্শকে ধ্বংস করার অর্থ হলো বাংলাদেশের অস্তিত্বকে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের আত্মমর্যাদা, সার্বভৌম অবস্থান ও জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তিই ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। একটি বিষয় ঐতিহাসিক বাস্তবতা, সেটি হলো যতবার এই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, ভূ-রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ কারণে ততোবারই বাংলাদেশ পরাধীনতার আশঙ্কায় কালাতিপাত করতে করতে কোনো না...
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ পরাজিত হলে বাংলাদেশের অস্তিত্বও বিপন্ন হবে
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অব.)

গরিবি হটাও, গরিব নয়
মোফাজ্জল করিম

কথাটা রূঢ় শোনালেও বলতেই হয়, ঢাকা শহরে আজকাল ভিক্ষুকের উপদ্রব অনেক বেড়ে গেছে। রাস্তাঘাটে, হাটবাজারে তো বটেই, এমনকি পাড়া-মহল্লায়ও হাজির হচ্ছে তারা। আমাদের ছেলেবেলা পঞ্চাশের দশকে উত্তরবঙ্গের এক জেলা শহরে শুধু শুক্রবারে অর্থাৎ জুমাবারে, দেখতাম ভিক্ষুকরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে লোকের বাসায় গিয়ে ভিখ মাগত। তাদের কেউ কেউ, বিশেষ করে অন্ধ ভিক্ষুকরা, সুর করে গান করত আর ভিক্ষা চাইত। সেই সব অন্ধজনের সঙ্গে থাকত একজন চক্ষুষ্মান পুরুষ, যে ছিল তার দেহরক্ষী-কাম-গাইড ও ক্যাশিয়ার। মেয়ে ভিক্ষুকরাও দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বেড়াত, তবে তাদের মধ্যে কোনো অন্ধ মহিলা ছিল বলে মনে পড়ে না। তা রাস্তাঘাটেই হোক আর পাড়া-মহল্লায়ই হোক, ভিক্ষুকের দর্শন সাধারণত ওই জুমাবারেই মিলত। অন্যান্য দিন শহরটি যে ভিক্ষুকদের জন্য আউট অব বাউন্ডস ছিল তা নয়। আসলে তখন সারা পূর্ববঙ্গের লোকসংখ্যাই ছিল কত?...
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক হুমকিতে পড়বে
ড. এ এস এম আলী আশরাফ

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ চলমান থাকলেও এখন পর্যন্ত আকাশপথের হামলায়ই সীমাবদ্ধ আছে। এরই মধ্যে চীন ইরানের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে, রাশিয়া মধ্যস্থতা চাইছে এবং ইংল্যান্ড দুই সপ্তাহের জন্য কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যেতে আহবান জানিয়েছে। শুধু ইসরায়েল আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাতে উৎসাহ দিয়েছেন। বিশ্বের শক্তিধর অন্য দেশগুলো যুদ্ধে উৎসাহ না দেখানোর কারণে এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, যুদ্ধটা থেমে যেতে পারে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা আমি একেবারেই দেখি না। ইরানে স্থলযুদ্ধ বা ভূমি দখলের প্রশ্ন এলে বিশ্বযুদ্ধের প্রশ্ন দেখা দিত। যুদ্ধে নাটকীয় মোড় আসবে, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে যায়। ইরানের ভূমির নিচে যেসব নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটিস আছে, সেগুলোকে ভেদ করার মতো বোমা বা বাংকার বাস্টার ইসরায়েলের নেই। তা শুধু...
স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে অর্থপাচার বন্ধ হবে না
ড. ফাহমিদা খাতুন

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং রিপোর্টগুলো দেখে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের প্রবণতা বাড়ছে। এর পেছনে প্রধানত দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থপাচারের প্রবণতা। যারা অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে, তারা সেটি দেশের ভেতরে রাখলে জবাবদিহির ভয় থাকে এবং অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা, দুদক বা গণমাধ্যমের নজরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। অথচ বিদেশে, বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট দেশে, ব্যাংকিংব্যবস্থায় গোপনীয়তা এতটাই বেশি যে তারা সেই টাকা সহজে সেখানে পাঠিয়ে নিরাপদে রাখে এবং ভোগ করে। সেখানে আয়ের উৎস সম্পর্কে বিশেষ প্রশ্ন না থাকায় তারা জবাবদিহির বাইরে থেকে যায়। দ্বিতীয়ত, অনেক নাগরিক বৈধভাবে অর্থ উপার্জন করলেও দেশে নিরাপদ বোধ করেন না। রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল আইনের শাসন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা এবং নীতিনির্ধারকদের প্রতি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত