ঝড়-বাতাস, অতিবৃষ্টিসহ সব ধরনের অকল্যাণ থেকে মহানবী (সা.) পরিত্রাণ চেয়েছেন। তাই কঠিন দুর্যোগকালে বাহ্যিক প্রস্তুতির পাশাপাশি তা থেকে পরিত্রাণ চেয়ে দোয়া করা সুন্নত। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল প্রচণ্ড বাতাস দেখলে এই দোয়া পড়তেন, اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا، وَخَيْرِ مَا فِيهَا، وَخَيْرِ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا، وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা, ওয়া খাইরি মা ফিহা, ওয়া খাইরি মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজু বিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি। অর্থ : হে আল্লাহ, এই প্রচণ্ড বাতাস যেসব কল্যাণ ও উপকার নিয়ে এসেছে তা আমি আপনার কাছে চাই। এই প্রচণ্ড বাতাস যেসব ক্ষতি ও মন্দ নিয়ে এসেছে তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি। (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ৩৪৪৯) অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ...
প্রচণ্ড ঝড়ের সময় মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন
অনলাইন ডেস্ক

হজজুড়ে ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতি
মাওলানা হানিফ আশরাফি

কাবাগৃহের নবনির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আল্লাহ তাআলা ইবরাহিম (আ.)-কে নির্দেশ দেন মানুষের মধ্যে ঘোষণা করে দাও। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি হজের আজান দেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে : আর মানুষের কাছে হজের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে। (সুরা : হজ, আয়াত : ২৬-২৮) এই ঘোষণার পর পৃথিবীর পাহাড়গুলো অবনত হয়ে যায় এবং তাঁর আওয়াজ পেৌঁছে যায় পৃথিবীর দিক-দিগনে্ত। ইবরাহিম (আ.)-এর এ আওয়াজ আল্লাহ তাআলা সব মানুষের কানে কানে পেৌঁছে দেন। এমনকি যারা ভবিষ্যতে কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে আসবে, তাদের কানে পর্যন্ত এ আওয়াজ পৌঁছে দেওয়া হয়। যাদের ভাগ্যে আল্লাহ তাআলা হজ লিখে দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই এ আওয়াজের জবাবে আমি হাজির, আমি হাজির বলে হাজির হওয়ার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ইবরাহিম (আ.)-এর ঘোষণার জবাবই হচ্ছে হজে...
হজের কার্যক্রমে ভুল হলে প্রতিবিধান
মুফতি তাজুল ইসলাম

হজের ভুলত্রুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক. ইহরাম বিষয়ক ভুল, দুই. হজের কর্মগত ভুল। ইহরামগত বিষয়ে ভুল হলে করণীয় ইহরাম বিষয়ক ভুলের ক্ষেত্রে করণীয়: ইহরাম অবস্থায় নিষদ্ধি কাজ যেমন সহবাস, শিকার, হত্যা বা এ জাতীয় কোনো ইহরামবিরোধী কাজ ভুলবশত, না জেনে কিংবা নিদ্রিত অবস্থায় বা কোনো ওজরের কারণে করে ফেললে ফিদিয়া আদায় করতে হবে। ফিদিয়া হলো পশু (বকরি, দুম্বা, উট) জবাই করবে অথবা ক্ষেত্রভেদে সদকা করবে। অন্যদিকে ইহরাম অবস্থায় নিষদ্ধি কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে, বৈধ কোনো ওজর ছাড়া করে ফেললে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সে পাপীও হবে। হজের কর্মগত বিষয়ে ভুল হলে: হজের কর্মগত ভুল তিন ধরনের, ১. হজের ফরজ তিনটি: ইহরাম পরিধান, আরাফায় অবস্থান ও তাওয়াফে জিয়ারত। হজযাত্রী আরাফায় অবস্থান করতে না পারলে পরবর্তীতে আবার হজ করা ছাড়া এর ক্ষতিপূরণ হবে না। ইহরামবিরোধী কাজ করে ফেললে ফিদিয়া দেবে। আর...
হারামের সীমানায় হজের কোরবানি
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

হজের একটি অন্যতম আমল হলো, কোরবানি তথা পশু জবাই করা। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন: আর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন যে ব্যক্তি উমরাসহ হজ পালন করবে, তবে যে পশু সহজ হয়, তা জবাই করবে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৬) তাই কিরান ও তামাত্তু হজ আদায়কারীদের ওপর তা পালন করা ওয়াজিব। যেহেতু তারা একই সফরে ওমরাহসহ হজ পালন করে থাকে। ইফরাদ হজ আদায়কারীর উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়, তবে করলে ভালো। (মানাসিকে মোল্লা আলি কারি, পৃষ্ঠা ৪৭৮) যার সামর্থ্য আছে তার জন্য একাধিক কোরবানি করা উত্তম। হাদিস শরিফে হজের মধ্যে বেশি-বেশি তালবিয়া পড়তে ও কোরবানি করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাছাড়া নবীজি (সা.) বিদায় হজের সময় একশটি উট কোরবানি করেছিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৭১৮) খরচ কমাতেই অনেকেই সৌদি আরবে অবস্থিত আত্মীয়দের মাধ্যমে কোরবানি করানোর চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হলো, হজের কোরবানির পশু...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর