মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রদর্শনে একটি মৌলিক পরিবর্তন এনেছিলেন। এটি নিছক একটি রাজনৈতিক ধারণা নয়, বরং রাষ্ট্র পরিচালনার একটি সমন্বিত দর্শন। যার মূল ভিত্তি স্বনির্ভরতা, জন-সম্পৃক্ততা এবং অর্থনৈতিক সংবেদনশীলতা। এই দর্শনের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা একটি কেন্দ্রীয় অনুষঙ্গ; যেখানে সামরিক শক্তি, জন-সম্পৃক্ত কৌশল, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, কূটনৈতিক ভারসাম্য এবং প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন সবই একই সূত্রে গাঁথা। আজকের বৈশ্বিক বাস্তবতায় যুদ্ধ শুধু গোলাবারুদ ও সৈন্য সামন্তের বিষয় নয় বরং সাইবার, তথ্য এবং অর্থনীতি মূল উপজীব্য, সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এই বাস্তববাদী ও বহুমাত্রিক নিরাপত্তা দর্শন আবারো নতুনভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। (১) জাতীয়...
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আলোকে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অব.)

বেক্সিমকো মডেলে ব্যাংক লুটে নাবিল গ্রুপ
মো. জয়নাল আবেদীন

নতুন ঋণের টাকায় পুরনো ঋণের কিস্তি শোধ করা ছিলদরবেশখ্যাত সালমান এফ রহমানের প্রিয় কাজ। রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কইয়ের তেলে কই ভাজতে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। এখন সেইদরবেশ বাবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন রাজশাহীভিত্তিক নাবিল গ্রুপের এমডি আমিনুল ইসলাম স্বপন। বড় কোনো উৎপাদনমুখী শিল্প না থাকা কিংবা ঋণ নেওয়ার জন্য জামানত হিসেবে পর্যাপ্ত সম্পদ না থাকলেও দেদার ঋণ পাচ্ছেন তিনি। এই প্রক্রিয়ায় ইসলামী ব্যাংক থেকে আরো ৮০০ কোটি টাকার নতুন ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণের কিস্তি পরিশোধের অভিযোগ পাওয়া গেছে গ্রুপটির বিরুদ্ধে। তথ্য-উপাত্ত বলছে, অভিনব কায়দায় জালিয়াতির মাধ্যমে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে নাবিল গ্রুপ। এর বেশির ভাগই বেনামি। আরো চার হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যেও আছে নানা ধরনের অনিয়ম। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জামানত জালিয়াতি। সাধারণত জামানত বন্ধকের পর ঋণ...
ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করবেন না, এখনই নির্বাচন দিন
অদিতি করিম

১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে প্রথমবারের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করেছিল। ওই নির্বাচন সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়। ১৯৯৬ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ৯০ দিনের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। অর্থাৎ এটি প্রমাণিতএকটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে ৯০ দিন যথেষ্ট সময়। অনেকেই ২০০৭ সালের এক-এগারোর সরকারের উদাহরণ দিতে চাইবেন। ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সেনা সমর্থিত ওই সরকারের আমলে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী...
নির্বাচনই একমাত্র সমাধান
অদিতি করিম

রাজধানীজুড়ে আন্দোলন। ঢাকা এখন আন্দোলনে অচল এক নগরী। একটা আন্দোলন শেষ হতে না হতেই নতুন আন্দোলন শহরকে বন্দি করে। তিন দিনের আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সব দাবি মেনে নেয় সরকার। সবই হলো শুধু জনগণকে পোহাতে হলো দুর্বিষহ দুর্ভোগ। সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ইশরাক হোসেনকে মেয়র করতে নগর ভবনের সামনে চলছে অবস্থান কর্মসূচি। কোথাও যেন কোনো সুখবর নেই। সাধারণ মানুষ হতাশ, বিরক্ত। এভাবে আর কত দিন! শান্তি কত দূরে? রাজনৈতিক নেতারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। কোথায় যেন হচ্ছে কোন সর্বনাশ। রাজনৈতিক অঙ্গনে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে হানাহানি বাড়ছে, বাড়ছে দূরত্ব, অবিশ্বাস, সন্দেহ। ৯ মাস ধরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবিদাওয়ার এক স্তূপে পরিণত হয়েছে যেন বাংলাদেশ। যে যার মতো করে আন্দোলন করছে,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত