তালেবানদের জয়ে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কোনো পাকিস্তানিরই উৎফুল্ল হওয়ার কারণ ছিল না। বাংলাদেশে যারা জঙ্গিবাদী তারা কিছুটা উৎসাহিত বোধ করেছে হয়তো, ভাবছে তাদের সহযোদ্ধারা আফগানিস্তানে জিতেছে, ভবিষ্যতে তারাও জিতবে, বাংলাদেশে। এটা সত্য যে ২৫ বছর আগে মুজাহিদরা যখন রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়ছিল তখন নানা দেশ থেকে উগ্র ইসলামপন্থিদের কিছু কিছু সদস্য আফগানিস্তানে গিয়ে হাজির হয়, এবং যুদ্ধে অংশ নেয়। বাংলাদেশ থেকেও কিছু যুবক সেখানে গিয়েছিল। আফগানিস্তানে তারা যুদ্ধ কতটা করেছিল কে জানে, তবে কেউ কেউ যে বোমা বানাবার ও মানুষ খুন করার বিদ্যা রপ্ত করে আসতে পেরেছিল, সেটা টের পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনেকটা এখন বদলে গেছে। জঙ্গিদের সাংগঠনিক শক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা করা যাচ্ছে। সাংগঠনিকভাবে শক্তিমান হলেও এরা যে জনসমর্থন পাবে, এমন সম্ভাবনা...
ধর্মরাজ্যের ভাবনা ও আজকের পৃথিবী
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

আঙুর ফল আর টক নয়
মোফাজ্জল করিম

কদিন আগে টিভিতে দেখলাম, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের একজন উদ্যোগী চাষির ইন্টারভিউ হচ্ছে। ওই চাষি ভদ্রলোক তাঁর নিজ বাগানে পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ করে সাফল্য লাভ করেছেন। তাঁর আঙুরলতাগুলোতে থোকায় থোকায় পাকা আঙুর ঝুলছে আর তিনি এগুলো থেকে একটি-দুটি আঙুর পেড়ে পেড়ে ইন্টারভিউগ্রহীতাকে খাওয়াচ্ছেন। আঙুর খেয়ে টিভির ভদ্রলোক খুব তৃপ্তির সঙ্গে তাঁর প্রশংসা করছেন। দৃশ্যটি দেখে আমার বা আমার মতো অন্য সব দর্শকেরও নিশ্চয়ই খুব ভালো লেগেছে। যাক, অবশেষে তাহলে এই সোনার দেশের সোনার মাটিতে আঙুরও ফলতে শুরু করল। নিশ্চয়ই সেই দিন আর বেশিদূরে নয়, যেদিন আম-কাঁঠাল-লিচুর মতো আঙুরও বেশুমার উৎপন্ন হবে এই দেশে। এ কথা ঠিক, বাংলাদেশের জলবায়ু আঙুর-আপেল-নাশপাতি-বেদানা ইত্যাদি ফল উৎপাদনের জন্য ঠিক অনুকূল নয়। তবে আমাদের কৃষিবিদ ও উদ্যোগী কৃষকরা যুগ যুগ ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বৈরী...
জেনারেল ওয়াকার আবারও ভরসার বাতিঘর
মোস্তফা কামাল

গুজববাজরা গুজব রটাবে, ওপারের ময়ূখরা মলমবাজি করবে, এপার-ওপার মিলিয়ে আজগুবি কনটেন্টের হাট বসাবে; এগুলো অপ্রত্যাশিত ছিল না। প্রশ্ন হচ্ছে, সুযোগটা কে করে দিয়েছে? কেউ এখানে-ওখানে জয় বাংলা ঘটাবেন, কেউ ইনকিলাব কাত করবেন, জাতীয় ঐক্যের চব্বিশের চেতনাকে বরবাদ করবেনগুজবের কারবার হবে না কেন? নিজের নানা অপকর্ম ঢাকতে একের পর এক অঘটন ঘটাবেন, তা ঢাকতে বিভিন্ন দিকে আঙুল তুলবেন, সেনাপ্রধানকে এসে বারবার ঐক্যের বারতা দিতে হবে, বলতে হবে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে; আর কত? সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তো এই কয়েক দিন আগেও লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ারে জানিয়ে দিয়েছিলেন, মিলেমিশে না চললে সামনে খারাবি আছে। তখন কিন্তু তাঁকে দোষারোপ করা যাবে না। তখন কারো কারো কাছে তাঁর ওই সতর্কবার্তা তিতা লেগেছে। এখন? একজন সেনাপ্রধান আর কতটুকু বলতে পারেন? দেশে একদিকে মীরজাফর, লেন্দুপ দর্জি গজাবে,...
আইএমএফের ঋণছাড় : পরের পথটা অনেক জটিল
ড. সেলিম জাহান

শেষ পর্যন্ত অচল অবস্থাটি কাটলবাংলাদেশ টাকার বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক নমনীয় হারের ওপরে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে দেয় মোট ৪৭০ কোটি ডলারের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩০ কোটি ডলারের অবমুক্তি অনুমোদন করেছে। দুই পক্ষের মতানৈক্যের মূল জায়গাটি ছিল বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হার। আইএমএফ বারবার জোর দিচ্ছিল- বাংলাদেশকে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ এ সুপারিশের বিরোধিতা করছিল। এখন যখন বাংলাদেশ আইএমএফের সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়েছে, তখন সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে। বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের চালচিত্রটি বেশ জটিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি পর্যবেক্ষণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল। গত মাসে আইএমএফের একটি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর