গ্রামের মানুষ তাঁকে কমল বলে ডাকতেন, প্রকৃত নাম জিয়াউর রহমান। বগুড়ার যে বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কমল সেই বাড়িটি কালের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে। জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ীতে ১৩০ বছরের পুরোনো এ বাড়িটি এখন হতে পারে আগামী প্রজন্মের জন্য দেশের অন্যতম ইতিহাসসমৃদ্ধ মিউজিয়াম। বগুড়ার ইতিহাসে বহু বিশিষ্টজন জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁদের একজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কমল। গ্রামীণ মাঠের সবুজ ধানের গোছার মতোই বেড়ে ওঠেন তিনি। গ্রামের আর দশজনের মতো বেড়ে উঠতে থাকা শিশুটির মনেও ছিল উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জীবন ধারণ করা। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রাজ্জাকুল আমিন রোকন তালুকদার জানান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দাদা ছিলেন পণ্ডিত কামাল উদ্দিন মণ্ডল। তিনি বাগবাড়ীতে এসে তৎকালীন...
যে বাড়িতে জন্ম কমলের
আবদুর রহমান টুলু

দূরদৃষ্টির রাষ্ট্রনায়ক
ডক্টর কর্নেল অলি আহমদ, বীরবিক্রম (অব.)

শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ জাতির দুর্দিনে নিজের জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে অসমসাহসিকতার পরিচয় দেন। দেশবাসীকে দিকনির্দেশনা দেন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিঃস্বার্থভাবে যুদ্ধে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান। তাঁর এ ঘোষণার কারণে জনগণ উজ্জীবিত হয়, দিকনির্দেশনা পায়। জাতিধর্ম-দলমত নির্বিশেষে সবাই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে দ্বিতীয়বার ৩০ মার্চ অন্য এক ঘোষণার মাধ্যমে নিজেকে তিনি কমান্ডার ইন চিফ অব বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস ঘোষণা করেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতারা সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতা, আসাম, মেঘালয় ও আগরতলার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেন। ভারত সরকারের সহযোগিতায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাঁরা নিজেদের সংগঠিত করেন এবং ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে প্রবাসে বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। মেজর জিয়া অন্যান্য অফিসারের মতো একজন সেক্টর কমান্ডার...
শহীদ জিয়া : অস্থির সময়ের সুস্থির রাষ্ট্রনায়ক
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান

চব্বিশের বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী অপশক্তি ও তাদের মিত্রদের চক্রান্ত থেমে নেই। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি যে রাষ্ট্রনায়কের প্রাসঙ্গিকতা জাতি অনুভব করছে তিনি হলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। কেননা রাষ্ট্রপতি জিয়া তাঁর শাসনকালের প্রারম্ভিক সময়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশের জাতির উদ্দেশ্য হলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। প্রকৃতপক্ষে আমাদের উন্নতি ও শান্তি নির্ভর করে জাতীয় ঐক্যের ওপর। আর জাতীয় ঐক্য নির্ভর করে নেতৃত্বের সর্বজনীনতা, দৃঢ়তা ও সময়োপযোগিতার ওপর। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ জাতির ক্রান্তিলগ্নে উই রিভোল্ট বলে যার প্রমাণ দিয়েছিলেন ইতিহাসের কিংবদন্তি এই রাষ্ট্রনায়ক। একাত্তরে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা, পঁচাত্তরের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর ক্ষমতার কেন্দ্রে আরোহণ...
“চির ভাস্বর : জনতার জিয়া”

সামরিক অভিবাদনে শেষ বিদায় সম্পন্ন হল বিউগলের লাস্ট পোস্টে। মানিক মিয়া এভিনিউয়ে তখন লক্ষ লক্ষ শোকার্ত মানুষের প্রতীক্ষা, তাদের প্রিয় মানুষের জন্য ইতিহাসের বৃহত্তম জানাযায় অংশগ্রহণের আকাঙ্খায়। সে এক অবিস্মরণীয় শোকাবহ দৃশ্য। ঢাকা আর আশেপাশের শহরের কোনো স্বক্ষম ব্যক্তি সেদিন ঘরে বসে ছিল না। - অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল চট্টগ্রাম! ৩০ মে ১৯৮১! রাতের চতুর্থ প্রহর! ঘড়ির কাটায়- ২.৩০ মিনিট! রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের এক কর্মব্যস্ত শুক্রবার সবে শনিবারে গড়িয়েছে মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে। চারিদিকে শুনশান নিরবতা, একটু আগের হঠাৎই মুষল ধারার বৃষ্টি আর বজ্রপাত সামান্য কমলেও মে মাসের তীব্র গরম কে সেটা আরো ভ্যাপসা করে তুলেছে । প্রচন্ড বৃষ্টির মাঝেই কালুরঘাট ব্রিজের কাছে লে: কর্নেল দেলোয়ারের বাসায় বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিধারা বদলে দেয়ার ষড়যন্ত্রের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর