কোরআন ও সুন্নাহর একাধিক দলিল থেকে জানা যায় যে আল্লাহ তাআলা সব কিছুর তাকদির (ভাগ্যলিপি) নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি যদি চাইতাম তাহলে পূর্বাহ্নেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার হেদায়াত দিয়ে দিতাম। কিন্তু আমার সে কথা পূর্ণ হয়ে গেছে, যা আমি বলেছি যে আমি জাহান্নাম জিন ও মানুষ দিয়ে ভরে দেবো। (সূরা সাজদা, আয়াত: ১৩) আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, যদি তোমার রবের ইচ্ছা হতো তাহলে সারা দুনিয়াবাসী ঈমান আনতো। তবে কি তুমি মুমিন হওয়ার জন্য লোকদের ওপর জবরদস্তি করবে?। (সূরা ইউনুস, আয়াত: ৯৯) পবিত্র কোরআনের সুরা তাকবিরের ২৯ নম্বর আয়াতে বলেন, তোমরা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার বাইরে কিছু ইচ্ছা করতে পারো না। তাকদিরের সঙ্গে তদবিরের সম্পর্ক এই মহাবিশ্বে ভবিষ্যতে যা কিছু ঘটবে, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তাআলা তাঁর পূর্বজ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী সেসব নির্ধারণ করে রাখাকে তাকদির বলে। আর যেকোনো কাজ...
তাকদির ও তদবির কাকে বলে?
আহমাদ মুহাম্মাদ

বিবাহিত মেয়ের ওপর মা-বাবার হক
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরআন ও হাদিসে মা-বাবার সঙ্গে সদাচারণের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা ছেলে-মেয়ে সবার জন্য প্রযোজ্য। কেননা সন্তান বলতে ছেলে-মেয়ে উভয়কেই বুঝানো হয়েছে। আর মা-বাবার জন্য সামর্থ্য অনুপাতে খরচ করা, তাঁদের খেদমত করা একপ্রকার সদাচারণ। সুতরাং মা-বাবা যদি এমন দরিদ্র হয় যে তাঁরা নিজের মালিকানার সম্পদে চলতে অক্ষম এবং অপরদিকে মেয়ে যদি সামর্থ্যবান ও বিত্তবান হয়, তাহলে তার ওপর মা-বাবার ভরণপোষণ ওয়াজিব। এক্ষেত্রে যদি তার সচ্ছল অন্য ভাইবোন থাকে তবে তাদের ওপরও ভরণপোষণ সমানভাবে ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অভাবগ্রস্ত মা-বাবার খরচ না দিলে গুনাহগার হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ১/৫৬৪) কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমার রবআদেশ করেছেন যে তাঁকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদব্যবহার করো...। (সুরা ইসরা/বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৩) অন্য আয়াতে এসেছে, তোমার কাছে জিজ্ঞেস...
হেল্প লাইনে বাংলাসহ ১০ ভাষায় হজের বিধি-বিধান
নিহার মামদুহ

সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের জন্য ফ্রি হেল্প লাইন চালু করেছে। তা হলো ৮০০-২৪৫১০০০। হেল্প লাইনে দিন-রাতের যে কোনো সময় হজ বিষয়ক বিধি-বিধান ও ফাতাওয়া জানা যাবে। বিশ্বের বহুল প্রচলিত ১০ ভাষায় হজযাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। ভাষাগুলো হচ্ছে, আরবি, ইংরেজি, ফ্রেন্স, তুর্কি, উর্দু, ইন্দোনেশিয়ান, বাংলা, হাউসা, আমহারিক ও হিন্দি। ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিনামূল্যের হেল্প লাইন চালু করেছেন যেন হজযাত্রীরা নিয়ম মেনে যথাযথভাবে হজ করতে করতে পারে। তারা প্রশ্নের উত্তর দিতে একদল সুদক্ষ পণ্ডিত ব্যক্তিত্ব ও পেশাদার অনুবাদক নিয়োগ দিয়েছে। যেন হজযাত্রীরা সরাসরি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। স্থানীয় হাজিদের প্রশ্নের উত্তর ও তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিতে মন্ত্রণালয় এই বছর তিন শ আলেম ও মুফতি নিয়োগ দিয়েছেন।...
নারীদের হজের বিশেষ বিধান
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে হজের বিধি বিধানগত পার্থক্য বিবেচনায় সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত জরুরি। কেননা, প্রিয়নবী (সা.) আয়েশা (রা.)-কে বলেন, তোমাদের জন্য মাবরুর (কবুল) হজ হচ্ছে শ্রেষ্ট জিহাদ। (বুখারি) হজের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ কিছু বিধি বিধান মেনে চলতে হয়। যেমন # নারীদের হজের অন্যতম শর্ত মাহরাম (অর্থাত্ পিতা, চাচা, শ্বশুর, ভাই, নিজের ছেলে, ভাতিজা, ভাগিনা, জামাতা ও অন্যান্য) সঙ্গী থাকা। এ মাহরাম সঙ্গীকে অবশ্যই সুস্থ-সক্ষম, প্রাপ্তবয়ষ্ক মুসলিম হতে হবে। আরবি মাহরাম অর্থ হালালের বিপরীত বা হারাম। অর্থাত্ যাদের সঙ্গে বিয়ে নিষিদ্ধ ও সাক্ষাত্ অনুমোদিত। # অভিভাবকের অনুমতি নেওয়া। দৈহিক-আর্থিকভাবে সামর্থ্য রয়েছে নারীদের হজের ক্ষেত্রে স্বামী বা পিতামাতার অনুমতি নেওয়া মুস্তাহাব। তবে অনুমতি পাওয়া না গেলেও হজ করা যাবে। বরং অভিভাবকের উচিত হবে, অনুমতি প্রত্যাশী...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর