আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু পরিচর্যায় গরুর বট (স্তন বা থনু) পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। অনেক খামারি ও গৃহপালক এই বিষয়ে সচেতন না থাকায় সংক্রমণ, চর্মরোগ বা দুধে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই এই অংশটি পরিষ্কার রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ঢাকা ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পশু স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তার আফসানা সুলতানা বলেন, গরুর বট পরিষ্কার রাখতে হলে প্রতিদিন পরিষ্কার পানি ও নরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেটা হতে হবে অ্যান্টিসেপটিক এবং হালকা। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় বটের নিচে ময়লা জমে বা কীট বসে যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যেন চুলকানি বা ক্ষত তৈরি না হয়। সপ্তাহে একবার হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে পরিষ্কার করাও উপকারী। সহজ...

বিশ্বব্যাপী গবাদিপশু পালনকারী ও মাংসপ্রেমীদের মধ্যে ব্রাহমা জাতের গরু দিন দিন ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। এই গরুর আকার, শান্ত স্বভাব এবং উচ্চমানের মাংসের জন্য এটি খামারিদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এক জাতে পরিণত হয়েছে। প্রথমেই আসা যাক ওজনের কথায়। একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহমা ষাঁড়ের ওজন সাধারণত ৮৮৭ কেজি থেকে শুরু করে ১২০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে, একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহমা গাভির ওজন হয়ে থাকে প্রায় ৪৫০ থেকে ৬৭৫ কেজি পর্যন্ত। জন্মের সময় একটি ব্রাহমা বাছুরের ওজন গড়ে ৬০ থেকে ১০০ পাউন্ডের মধ্যে থাকে। এছাড়া এদের উচ্চতা সাধারণত ১২৮ থেকে ১৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই জাতের গরুর স্বভাব অত্যন্ত শান্ত ও মৃদু। পাশাপাশি এরা বুদ্ধিমান, কৌতূহলী এবং কিছুটা লাজুক প্রকৃতির। আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আগ্রহী থাকলেও, আচরণে সাধারণত শান্ত ও নিয়ন্ত্রিত...

শহরের ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদেও বাড়ির পথে যাত্রার সময়টা অনেকের জন্য বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। তবে এ বছর ঈদযাত্রাটি বৃষ্টিতে কাটতে পারে। ঈদের আগে হাজারো মানুষ যখন রাজধানী ঢাকা বা বড় শহরগুলো থেকে বেরিয়ে যান গ্রামের পথে, তখন সড়ক, রেল ও নৌপথে চাপ তৈরি হয়। এ সময় একটি হালকা বৃষ্টি যেমন যাত্রাকে মনোরম করে তুলতে পারে, তেমনি ভারী বৃষ্টি যাত্রাকে রীতিমতো দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। ঢাকার গাবতলী, মহাখালী বা সায়েদাবাদ টার্মিনাল প্রতিটি জায়গায় হাজারো যাত্রীর ভিড়। কেউ বাসে উঠছেন, কেউ ট্রেনে, কেউবা লঞ্চে। যদি হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি নামে? ছাতা বা রেইনকোট না থাকলে ভিজে যাওয়া নিশ্চিত। এতে ঠান্ডা-জ্বর তো হতেই পারে, আবার বৃষ্টির পানিতে ভিজে ব্যাগের ভেতরের জামাকাপড়, মোবাইল, কাগজপত্রও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নিতে হবে কিছু পূর্ব প্রস্তুতি, যা...

গরমকালে আমাদের ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে শসা। এটি আমাদের গরম থেকে মুক্তি দেয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রায়তা থেকে শুরু করে স্যালাড পর্যন্ত সব জায়গায় এটি ব্যবহার করা যায়। আমরা প্রায় সময় লক্ষ্য করি শসা কাটার সময় উভয় পাশ কেটে ঘষা হয়। এর ফলে শসা থেকে সাদা ফেনার মতো পানি বের হয়ে আসে। কিন্তু, জানেন কি, এটি কেন করা হয়? এটি করলে কী উপকার, জেনে নিন অনেকে বলে থাকেন, এটি করার ফলে শসার তিক্ততা কমে যায়। শসায় কুকুরবিটাসিন নামক একটি প্রাকৃতিক যৌগ থাকে। এই যৌগই শসার তিক্ততার জন্য দায়ী। এটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে শসা মুখে। তাই শসার দুই পাশে ঘষলে সাদা ফেনার আকারে এটি বের হয়ে আসে এবং শসার তিক্ততা কিছুটা কমে আসে। শসার এই যৌগ শুধু এটাকে তিক্তই করে তোলে না, বরং হজমেও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই গ্যাস, এসিডিটি ও...