ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন মুসলমানদের জন্য এক অনন্য আনন্দ ও উৎসবের দিন। এই দিনে পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী এবং সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা বিনিময় করা ইসলামের একটি সৌন্দর্যপূর্ণ ঐতিহ্য। আর এই শুভেচ্ছা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা ও আচরণই মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় আদর্শ। আমাদের দেশে ঈদ মোবারক বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর প্রচলন আছে। কিন্তু সালামের আগেই ঈদ মোবারক বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা উচিত নয়। রাসুল (সা.) কিভাবে ঈদের শুভেচ্ছা দিতেন? ওয়াসিলা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ঈদের দিন সাক্ষাৎ করলাম। আমি বললাম, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা। মহানবী (সা.)ও বলেন, তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা। (বায়হাকি : ৩/৪৪৬) تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ উচ্চারণ: তাকাব্বালাল্লাহু মিননা ওয়া মিনকুম অর্থ: আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের...
রাসুল (সা.) যেভাবে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতেন
অনলাইন ডেস্ক

হারাম উপার্জনকারীর সঙ্গে কোরবানি করা যাবে?
অনলাইন ডেস্ক

সামর্থ্যের অভাবে অনেকেই শরিকি কোরবানি দিয়ে থাকেন। দুজন, তিনজন, পাঁচজন কিংবা সাত জন মিলে কোরবানি করে থাকেন। ইসলামে এটি জায়েজ আছে। তবে কোরবানি কবুল হওয়ার শর্ত মাল হালাল হওয়া। কেউ যদি হারাম উপার্জনের টাকায় কোরবানি করেন তার কোরবানি আদায় হবে কি? শরিকি কোরবানির ক্ষেত্রে এ বিষয়ে মাসআলা কী? নিয়ম: সাতজনে মিলে কোরবানি করলে সবার অংশ সমান হতে হবে। কারও অংশ এক-সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। (যেমন- কারও আধাভাগ, কারও দেড়ভাগ)। এমন হলে কোনো শরিকের কোরবানি হবে না। তেমনিভাবে সম্পূর্ণ হালাল সম্পদ থেকে কোরবানি করতে হবে। হারাম টাকা দ্বারা কোরবানি সহিহ হবে না। এ ক্ষেত্রে অন্য শরিকদের কোরবানিও আদায় হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭)। আরও কিছু মাসায়েল নিয়ম: সব অংশিদারের নিয়ত কোরবানির জন্য হতে হবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না; কিন্তু পৌঁছে...
আরাফাতের ময়দানে দোয়া ও ইবাদতে মশগুল হাজিরা
অনলাইন ডেস্ক

আজ বৃহস্পতিবার জিলহজ মাসের ৮ তারিখ পবিত্র হজের দিন। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক... মধুধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে পবিত্র আরাফার পাহাড় ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত এখন। হজের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আরাফায় অবস্থান পালনের জন্য বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আরাফাতের ময়দানে পৌঁছাতে শুরু করেন হাজিরা। এখানে পৌঁছে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ইবাদতে সময় অতিবাহিত করছেন তারা। হাজার হাজার হাজি ফজরের আগেই আরাফার ময়দান, জাবালে রহমত পাহাড় ও তার আশপাশের সমতল ভূমিতে একত্রিত হতে শুরু করেন। এটি সেই ঐতিহাসিক স্থান যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণ প্রদান করেছিলেন। অনেকেই গরম এড়াতে রঙিন ছাতা নিয়ে ভোরেই পৌঁছে গেছেন আরাফায়, দিনভর সেখানে কোরআন তিলাওয়াত...
আরাফায় অবস্থানের নিয়ম ও দোয়া
অনলাইন ডেস্ক

হজের অন্যতম রোকন বা ফরজ হলো উকুফে আরাফাহ, অর্থাৎ আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। ৯ জিলহজ সকালে হাজিরা মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এর আগে তারা গোসল করে নেন এবং একবার তাকবিরে তাশরিক পাঠ করেন: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার; আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ। হাজিরা জোহরের নামাজের আগেই আরাফায় পৌঁছান, কেননা ৯ জিলহজ জোহরের সময় থেকে আরাফায় অবস্থানের সময় শুরু হয় এবং সূর্যাস্তের কিছু পরে পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। এ সময়টুকু আরাফার সীমার মধ্যে অবস্থান করা ফরজ। সূর্যাস্তের আগে যদি কেউ আরাফা থেকে বের হয়ে যায়, তবে তাকে অবশ্যই সূর্যাস্তের আগে আবার ফিরে আসতে হবে। তা না হলে তার উপর একটি দম (কুরবানি) ওয়াজিব হয়ে যাবে। তবে কেউ যদি জোহর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আরাফায় পৌঁছাতে না পারেন, তাহলেও সুযোগ থাকে।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর