মায়ের জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও তাঁর স্বামী শাকিল আহমেদকে জানাজা শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্যারোলে মুক্তির পর রুপার হাতে কোন হাতকড়া পরায়নি পুলিশ। কারা সূত্র জানায়, সাংবাদিক ফারজানা রুপার মা হোসনে আরা বেগম (৮০) বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহ নগরের নিজ বাসায় মারা যান। পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারোলের আবেদন করা হলে বুধবার বিকেলে চার ঘণ্টার জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা কমপ্লেক্স থেকে সাংবাদিক দম্পতিকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়। ফারজানা রুপা বন্দি ছিলেন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে এবং তাঁর স্বামী শাকিল আহমেদ হাই সিকিউরিটি কারাগারে। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তারা মুক্তি পান। পুলিশের পাহারায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তারা পৌঁছান ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া দাঁড়িয়াকান্দা গ্রামে।...

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি আলোচিত তত্ত্ব হলো তিন শূন্য তত্ত্ব। তাঁর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার যেন ব্যর্থতার দিক দিয়ে সেই শূন্য তত্ত্বের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে। ১০ মাস শূন্য সংস্কার, শূন্য বিচার এবং শূন্য নিরপেক্ষতা দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ একটি ব্যর্থ সরকার হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পেরেছে। এটাই যেন সরকারের একমাত্র সাফল্য। অবশ্য এই ১০ মাসে প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর উপদেষ্টামণ্ডলীর ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৬০০ কোটিরও বেশি টাকার আয়কর মওকুফ হয়েছে। ম্যাজিক গতিতে তাঁর সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারি শেয়ার কমেছে। ড. ইউনূসের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স। ১০ মাসে একজন সরকারপ্রধান ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে লাভবান হয়েছেন, তা এক বিরল...

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য তাঁর ঘোষিত রোডম্যাপের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের সংস্কার রোডম্যাপের মূল লক্ষ্য বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা এবং দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তোলা। মঙ্গলবার রাতে ইউএনডিপির বার্ষিক রুল অব ল সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। নিউইয়র্কে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে প্রধান বিচারপতি অনলাইনে যুক্ত হয়ে ভাষণ দেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিচার বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিকভাবে, জাতীয়ভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর, বাসস। তিনি বলেছেন, ইউএনডিপি দ্বারা সমর্থিত ট্রানজিশনাল ন্যায়বিচার সরঞ্জামগুলোর ওপর দক্ষিণ আফ্রিকার...

সৈকত চন্দ্র দে সুমন (৪৩), একজন মেধাবী যুবক, যার অকাল মৃত্যু একটি নিষ্ঠুর বাস্তবতার প্রতিফলন। রাজধানীর শনির আখড়া বাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন সুমন, আর তার জীবন যে সহজ ছিল না, তা তার পরিবারের কাছেই জানা ছিল। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদি গ্রামের ছেলে সুমন, এক সন্ধ্যায় যখন মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন, তখন তার অকাল মৃত্যু ঘটে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর গুলি চালানোর সময় সেই গুলি এসে সুমনের বুকের পাঁজরে আঘাত করে এবং ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান। সুমনের বাবা স্বর্গীয় দুলাল চন্দ্র দে। তিনি পেশায় ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা স্বর্গীয় শিখা রানী দে। সুমনরা ৩ ভাই, এক বোন। সুমন ছিলেন সবার বড়। মেঝো সুজন চন্দ্র দে (৩৫)। তিনি ঢাকায় অংলকার তৈরির কারখানায় কাজ করেন। ছোট ভাই চন্দন চন্দ্র দে (৩২)। তিনি রাজধানীর আনন্দ...