ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সব দেশের অবস্থান নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, যারা একদিকে শান্তির কথা বলে আবার অন্যদিকে আগ্রাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাদের অবস্থান ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়। আজ সোমবার (১৬ জুন) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। বাঘাই বলেন, যদি কোনো দেশ সত্যিকার অর্থেই জাতিসংঘ সনদ, আইনের শাসন এবং যৌথ নিরাপত্তার নীতিতে বিশ্বাস করে, তবে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া তাদের দায়িত্ব। তিনি জানান, ইরান চতুর্থ দিন ধরে জাতীয় প্রতিরক্ষার অধীনে আছে এবং আক্রমণের জবাব দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাঘাই পশ্চিমা দেশগুলোকে অভিযুক্ত করে বলেন, তারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে তাকে শাস্তির বাইরে রেখেছে। তিনি বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরেও প্রতিনিয়ত অপরাধ চলছে, যা ভুলে...
‘এই যুদ্ধ শুধুমাত্র ইরানের বিরুদ্ধে নয়, বরং গোটা মানবসভ্যতার বিরুদ্ধে’
অনলাইন ডেস্ক

ইরাক থেকে শিক্ষা না নিয়ে বুশ-ব্লেয়ারের পথে ইসরায়েল
আলজাজিরার বিশ্লেষণ

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই যুদ্ধকে প্রি-এম্পটিভ বা আগাম প্রতিরোধমূলক যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন, যার লক্ষ্য তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা। এতে তিনি সেই একই কৌশলগত ভুল করেছেন, যা একসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার করেছিলেন ইরাকে আগ্রাসনের সময়। ইসরায়েলি জেট ও ক্ষেপণাস্ত্র যখন মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ইরানি সামরিক ঘাঁটি ও নেতাদের ওপর আঘাত হানে, তখন তা গোটা বিশ্বকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে। যেমনটি ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের ইরাক আক্রমণের সময়। এই অনাক্রমণাত্মক হামলা ইতিমধ্যেই একটি অস্থির অঞ্চলে আরও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। নেতানিয়াহুর দাবি, হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নাতাঞ্জ, ইসফাহান ও ফোর্ডোর...
যুদ্ধে ইসরায়েল কেন ইরানের আইআরজিসিকে টারগেট করেছে
অনলাইন ডেস্ক

আইআরজিসি (Islamic Revolutionary Guard Corps IRGC) হলো ইরানের একটি বিশেষ সামরিক বাহিনী, যা ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর গঠিত হয়। এর মূল কাজ হলো ইসলামি প্রজাতন্ত্রের আদর্শ ও শাসনব্যবস্থা রক্ষা করা। এটি ইরানের সাধারণ সেনাবাহিনী (আর্তেশ) থেকে আলাদা এবং সরাসরি দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ীর অধীনে পরিচালিত হয়। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা। যেমন- মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি IRGC প্রধান, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ IRGC এর এয়ার ফোর্স ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট প্রধান, জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ শীর্ষ কৌশলগত কমান্ডার। এছাড়াও, ছয়জন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। যে কারণে IRGC আলোচিত: যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালে IRGC-কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা...
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কি?
অনলাইন ডেস্ক

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাত থেকে দূরে রাখতে চান। সিএনএনকে দেওয়া তথ্যমতে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে জানায়, ট্রাম্প এই পরিকল্পনার বিরোধিতার ফলে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই পরিকল্পনার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন। এদিকে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষামূলক সহায়তা দিয়েছে। তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে রাজি হননি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর