পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন। তাই মুমিনের উচিত কোরআন তিলাওয়াতের সময় বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণভাবে নিজেকে আল্লাহর জন্য প্রস্তুত করা। বাহ্যিক প্রস্তুতি হলো পবিত্রতা অর্জন করা, মুখের পরিচ্ছন্নতা, পবিত্র স্থানে বসা, কেবলামুখী হয়ে বসা, বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করাসহ অন্যান্য শষ্টিাচার রক্ষা করা। আর অন্তরের প্রস্তুতি হলো একাগ্রতা, বিনয়, বিনম্রতা ও আল্লাহমুখী হওয়া। কোরআন পাঠের প্রভাব কোরআন পাঠ মুমিনের অন্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করে। যা তার বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও প্রকাশ পায়। মহান আল্লাহ বলেন, Èআল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন উত্তম বাণী সম্বলিত কিতাব যা সসমঞ্জস এবং যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হয়। এতে, যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে। (সুরা ঝুমার, আয়াত : ২৩) আবদুল্লাহ বিন...
কোরআন পাঠের সময় মুমিনের অভিব্যক্তি
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

রাত্রিকালীন কিছু কুসংস্কার
হাদি-উল-ইসলাম

ইসলামপূর্ব আরবে অনেক ধরনের কুসংস্কার ও অহেতুক বিশ্বাস প্রচলিত ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরআন-সুন্নাহর শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ থেকে সব কুসংস্কার দূর করেন। আরবরা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে বের হওয়ার আগে পাখি ওড়াত, পাখিটি উড়ে ডান দিকে গেলে যাত্রা শুভ মনে করত, আর বাম দিকে গেলে অশুভ মনে করত। কারো বাড়িতে পেঁচা বসলে মনে করত গৃহবাসীদের নিকটতম কারো মৃতু্য হবে অথবা ঘর বিরান হয়ে যাবে। নবী করিম (সা.) বলেন, এসব কুলক্ষণের কোনো বাস্তবতা নেই। (বুখারি, হাদিস : ৫৭০৭) ইসলামী জ্ঞানের অভাবে আমাদের সমাজেও নানা কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। অনেক এলাকায়ই রাতকেন্দ্রিক কিছু অহেতুক বিশ্বাস প্রচলিত আছে। নিচে এর কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যেমন- * রাতে নখ, চুল, দাঁড়ি, গোঁফ ইত্যাদি কাটতে নেই। * রাতে আয়না দেখতে নেই। * ঘরের ময়লাপানি রাতে বাইরে ফেললে সংসারে অমঙ্গল হয়। * রাতে বাঁশ কাটা যাবে না। * রাতে...
আত্মপ্রচারের আধুনিক রূপ ও ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি
শাকের উল্লাহ সাদেক

রিয়া, শো অফ, লেৌকিকতা বা আত্মপ্রচারের সাধারণত চারটি স্তর আছে। ইমাম গাজালি (রহ.) ইহয়ায়ু উলুমিদ্দিন-এ বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। এক. রুঢ়তর। ইবাদতে মোটেও সাওয়াবের ইচ্ছা না থাকা। অর্থাত্, কেউ একা হলে ইবাদত করে না; কিন্তু জনসম্মুখে হলে ঠিকই ইবাদত করে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে অজু ছাড়াও নামাজ আদায় করে নেয়। তেমনি কেউ মানুষের ঘৃণা বা গালি থেকে বাঁচার জন্য দান করে। এতে কোনো সাওয়াবের আশা রাখে না। বিধান : এটি রিয়া বা শো অফের সর্বোচ্চ স্তর। এটি আল্লাহর পাকের নিকট খুবই জঘন্য ও ঘৃণিত। দুই. সাওয়াবের ইচ্ছা থাকলেও তা ক্ষীণ। অর্থাত্ম, নির্জনে হলে সে ওই আমলটি করার ইচ্ছা করে না; লোকালয়ে হলে সে আমলটি ঠিকই করে, কিন্তু সাওয়াবের আশা রাখে। বিধান : এরূপ ব্যক্তিও প্রথমোক্ত ব্যক্তির নিকটবর্তী। কারণ, তার এমন ইচ্ছা নেই যা তাকে ঐ আমল করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এরূপ ইচ্ছা...
আরব আমিরাতে হিজরি নববর্ষের ছুটি ঘোষণা
নিহার মামদুহ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় হিজরি নববর্ষের ছুটি ঘোষণা করেছে। আগামী ২৭ জুন শুক্রবারকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিন নতুন হিজরি বর্ষ ১৪৪৭ শুরু হবে। দেশটিতে এই সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এটি একটি বেতনভুক্ত ছুটির দিন হিসেবে গণ্য হবে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেই নববর্ষের ছুটির সদ্ধিান্ত এসেছে। হিজরি বর্ষ ইসলামী বর্ষ হিসেবে পরিচিত। মহানবী (সা.)-৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। সে বছর থেকে হিজরি বর্ষ গণনা করা হয়। খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) হিজরি প্রবর্তন করেন। হিজরি বর্ষ চন্দ্র মাস হিসেবে গণনা করা হয়। এর সূচনা হয় মহররম মাস দিয়ে এবং শেষ হয় জিলহজ মাস দিয়ে। মুসলিম বিশ্বে ব্যাপকভাবে হিজরি নববর্ষ উদযাপন করা হয় না, তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরব বিশ্বের কোনো কোনো দেশ হিজরি নববর্ষ উদযাপন করে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর