কথাটা রূঢ় শোনালেও বলতেই হয়, ঢাকা শহরে আজকাল ভিক্ষুকের উপদ্রব অনেক বেড়ে গেছে। রাস্তাঘাটে, হাটবাজারে তো বটেই, এমনকি পাড়া-মহল্লায়ও হাজির হচ্ছে তারা। আমাদের ছেলেবেলা পঞ্চাশের দশকে উত্তরবঙ্গের এক জেলা শহরে শুধু শুক্রবারে অর্থাৎ জুমাবারে, দেখতাম ভিক্ষুকরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে লোকের বাসায় গিয়ে ভিখ মাগত। তাদের কেউ কেউ, বিশেষ করে অন্ধ ভিক্ষুকরা, সুর করে গান করত আর ভিক্ষা চাইত। সেই সব অন্ধজনের সঙ্গে থাকত একজন চক্ষুষ্মান পুরুষ, যে ছিল তার দেহরক্ষী-কাম-গাইড ও ক্যাশিয়ার। মেয়ে ভিক্ষুকরাও দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বেড়াত, তবে তাদের মধ্যে কোনো অন্ধ মহিলা ছিল বলে মনে পড়ে না। তা রাস্তাঘাটেই হোক আর পাড়া-মহল্লায়ই হোক, ভিক্ষুকের দর্শন সাধারণত ওই জুমাবারেই মিলত। অন্যান্য দিন শহরটি যে ভিক্ষুকদের জন্য আউট অব বাউন্ডস ছিল তা নয়। আসলে তখন সারা পূর্ববঙ্গের লোকসংখ্যাই ছিল কত?...
গরিবি হটাও, গরিব নয়
মোফাজ্জল করিম

স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে অর্থপাচার বন্ধ হবে না
ড. ফাহমিদা খাতুন

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং রিপোর্টগুলো দেখে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের প্রবণতা বাড়ছে। এর পেছনে প্রধানত দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থপাচারের প্রবণতা। যারা অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে, তারা সেটি দেশের ভেতরে রাখলে জবাবদিহির ভয় থাকে এবং অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা, দুদক বা গণমাধ্যমের নজরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। অথচ বিদেশে, বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট দেশে, ব্যাংকিংব্যবস্থায় গোপনীয়তা এতটাই বেশি যে তারা সেই টাকা সহজে সেখানে পাঠিয়ে নিরাপদে রাখে এবং ভোগ করে। সেখানে আয়ের উৎস সম্পর্কে বিশেষ প্রশ্ন না থাকায় তারা জবাবদিহির বাইরে থেকে যায়। দ্বিতীয়ত, অনেক নাগরিক বৈধভাবে অর্থ উপার্জন করলেও দেশে নিরাপদ বোধ করেন না। রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল আইনের শাসন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা এবং নীতিনির্ধারকদের প্রতি...
বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

গল্পগুলো মোটেই নতুন নয়; সবগুলোই জানা এবং শোনা। ঘুরেফিরে তাদের কথাই শুনতে হয়; লোকমুখে, পত্রপত্রিকায়। দৈনিক পত্রিকাগুলোর কারবার তো গল্প নিয়েই। দুরকমের গল্প পাঠক বেশ পছন্দ করে। রাজনীতির এবং অপরাধের। রাজনীতি এখন জটিল-মিশ্র ডামাডোলের মধ্যে রয়েছে। ও নিয়ে আলোচনা এ মুহূর্তে থাক। অপরাধের খবর বেশ পাওয়া যায়। অপরাধগুলোও যে খুব বৈচিত্র্যপূর্ণ তা অবশ্য নয়। মোটামুটি একই রকমের। ব্যতিক্রমী দু-একটি ছাড়া অপরাধের পেছনে যে অপরাধ থাকে তাদের সম্পর্কে তদন্ত করবে এমন সাধ্য নেই পত্রিকার। সাংবাদিকরা পারেন; তাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে, তবে তাদের তদন্ত করতে দেওয়া হয় না। দেশে সবচেয়ে বড় অপরাধ হচ্ছে সম্পদ পাচার। সম্পদ তৈরি হয় মানুষের শ্রমে, আর সম্পদ যারা তৈরি করেন তারা বঞ্চিত হবেন, এটাই অবশ্য নিয়ম। সে নিয়মই চলে আসছে যুগ-যুগান্তর ধরে। সম্পদ পাচারকারীদের কার্যক্রম এবং পরিচয় দুটোই...
এবার ভারতীয় মিডিয়ার আক্রমণের টার্গেট তারেক রহমান
অনলাইন ডেস্ক

গত ১৩ জুন শুক্রবার লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক বৈঠকের চূড়ান্ত সাফল্যের পর আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের সম্ভাবনা একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। একদিকে হতাশা এবং অন্যদিকে আতঙ্কের ফলে ভারতে শেল্টার নেওয়া আওয়ামী লীগ এবং তার মেন্টর ভারত দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। ওইদিকে তাদের মধ্যেই একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে, (বাংলাদেশের কেউ এ খবর ছড়ায়নি) গত ১৬ জুন থেকে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের রাঘববোয়ালদের বিচার শুরু হচ্ছে। সুতরাং, এ বিচার বানচাল এবং ইউনূস-তারেক সৌহার্দকে বিনষ্ট করার জন্য ভারতের অঙ্গুলি হেলনে এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসাবে গত ১৬ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা আইসিটির কাছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা একটি ক্রুড বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। উল্লেখ করা যেতে পারে, ক্রুড বোমা হলো সেই...