হাত ধোয়ার জন্য ব্যাকটেরিয়ানাশক সাবানের ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এই ব্যাকটেরিয়ানাশক সাবান সাধারণ সাবানের তুলনায় খুব বেশি উপকারী নয়। এসব সাবানে থাকতে পারে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানসমূহ। অনেকেই হয়তো জানেনই না যে ভালোর চেয়ে খারাপ বেশি করতে পারে ‘অ্যান্টি-ব্যকটেরিয়াল’ সাবান।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্যাকটেরিয়ানাশক সাবানের ওপর একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যাকটেরিয়ানাশক সাবানের ক্ষতিকর দিক-
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান বা যেকোনো পরিষ্কারক প্রসাধনীর গায়ে ‘অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল’ লেখা থাকে। যার মানে হলো এতে বিশেষ একটি রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। রাসায়নিক উপাদান যোগ করা হয়েছে শুধুই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশন (এফডিএ) এসব সাবান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর তাদের পণ্য কেন নিরাপদ এবং তার বাড়তি কার্যকারিতার প্রমাণ দর্শানোর নির্দেশ জারি করেছে। কারণ যে রাসায়নিক উপাদান সাবানে যোগ করা হয় তার যথেষ্ট ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।
পরীক্ষাগারে এই রাসায়নিক উপাদানগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তারা কাজ করে ‘এন্ডোক্রাইন ডিজরাপ্টার’ হিসেবে। অর্থাৎ হরমোনের স্বাভাবিক কার্যাবলিকে তারা প্রভাবিত করতে পারে। এসব সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহারে শরীর ‘অ্যান্টি-বায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ হয়ে যাবে। অর্থাৎ সকল ‘অ্যান্টি-বায়োটিক ওষুধ শরীরে সঠিকভাবে কাজ করবে না।
তাই সাধারণ সাবান, যাতে কোনো ‘অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল’ উপাদান নেই, সেগুলোই নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত আমাদের। কিছু সাবানের গায়ে ‘অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল’ লেখা না থাকলেও তাতে ‘ট্রাইক্লোসান’ বা ‘ট্রাইক্লোকারবান’ থাকতে পারে। তাই সাবান কেনার সময় প্যাকেটের গায়ের উপকরণের তালিকা দেখে কিনতে হবে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ